মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিল্লীর দাঙ্গায় অংশ নেয়ার জন্য দুই হাজারের বেশি বহিরাগত বা গুণ্ডারা ২৪ ঘন্টার জন্য দুটো স্কুলে অবস্থান নিয়েছিল। দিল্লী মাইনরিটিজ কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল যে প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করেছে, সেখানে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে অনুসন্ধানী এই রিপোর্টটি এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।
ঘটনার তদন্তে কমিশনের চেয়ারম্যান ডক্টর জাফরুল ইসলাম খান এবং সদস্য কার্তার সিং কোচ্চার সহিংসতা কবলিত উত্তরপূর্ব দিল্লী সফর করেছেন। ইসলাম বলেন, ‘দিল্লী দাঙ্গা সঙ্ঘটনের জন্য স্কুলগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য পুলিশকে দায়ি করা উচিত। বহিরাগত গুণ্ডারা কিভাবে এখানে পৌঁছালো? শুধু তাই নয়; দুই হাজারের বেশি উগ্র ব্যক্তিদেরকে এখানে ২৪ ঘন্টার বেশি থাকতে দেয়া হয়েছে এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হয়েছে।’
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, প্রতিনিধি দল দেখতে পেয়েছে যে শিব বিহারে দুটো স্কুল গুণ্ডারা দখল করে রেখেছিল যারা ছিল বহিরাগত। একটি হলো ফয়সাল ফারুক পরিচালিত রাজধানী পাবলিক স্কুল। অন্যটি হলো পঙ্কজ শর্মা পরিচালিত ডিআরপি কনভেন্ট স্কুল। দুটো স্কুলের মধ্যে একটা অভিন্ন দেয়াল রয়েছে।
প্রথম প্রতিষ্ঠানের ড্রাইভার রাজ কুমার কমিশনকে জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার সাড়ে ৬টার দিকে ৫০০ মানুষ স্কুলে ঢুকে পড়ে। তিনি বলেন, ‘তারা হেলমেট পড়ে চেহারা ঢেকে রেখেছিল। পরবর্তী ২৪ ঘন্টা তারা সেখানে ছিল।’
এলাকায় পুলিশ আসার পর পরদিন সন্ধ্যায় গুন্ডারা চলে যায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘এরা সবাই ছিল সবল যুবক। তাদের সাথে অস্ত্র ও বড় গুলতি ছিল, যেগুলো দিয়ে তারা স্কুলের ছাদ ও রাস্তার পাশের বাড়িগুলো থেকে পেট্রল বোমা ছুড়েছে। পাশের স্কুলে প্রবেশের জন্য এদের কেউ কেউ ভারি দড়ি ব্যবহার করেছে, যেগুলো এখনও স্কুলে রয়ে গেছে। তারা কম্পিউটার এবং বহনযোগ্য আরও জিনিসপত্র নিয়ে গেছে এবং যেগুলো বাকি ছিল, সেগুলো গুড়িয়ে দিয়ে গেছে।’
ডিআরপি স্কুলে, প্রতিনিধি দলকে বহিরাগতদের ব্যাপারে একই ধরণের বিবরণ দেয়া হয়েছে। গার্ড রুপ সিং এই গুন্ডাদের ব্যাপারে কমিশনকে বলেন, ‘২৪ তারিখ সন্ধ্যা থেকে ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে ১৫শ’র মতো মানুষ এখানে অবস্থান নিয়েছিল। পাশের রাজধানী স্কুলের ছাদ থেকে তারা এখানে প্রবেশ করেছিল।’
সিং কমিশনের সদস্যদেরকে বলেন, পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে কোনভাবে রক্ষা পেয়েছেন তারা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্কুলের মধ্যে কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে বাস করতো সিং। সে আমাদেরকে জানিয়েছে যে, এই লোকগুলো স্কুলের সবকিছু লুটপাট করেছে অথবা জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরা দেখেছি, স্কুলের খোলা জায়গাতে বহু ডেস্ক জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে এবং সেখানে শুধু স্টিলের কাঠামোগুলো টিকে আছে।’
রাজধানী স্কুল প্রতিনিধি দলকে ওই গুণ্ডাদের একটি ছবি দিয়েছে, যারা সেখানে ২৪ ঘন্টা দখল করে রেখেছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তরুণ যুবকেরা হেলমেট পরে চেহারা ঢেকে রেখেছে। ডিআরপি স্কুলের গার্ডও নিশ্চিত করেছে যে, একই ধরণের মানুষ তার স্কুল দখল করে রেখেছিল। দুটো স্কুলে ২৪ ঘন্টা ধরে দুই হাজারের বেশি মানুষ দখল করে রেখেছিল।’
রিপোর্টে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, গুণ্ডা বাহিনীর সদস্যরা ছোট ট্রাকে করে এক এক শিফটে ২-৩ ঘন্টার জন্য বাইরে গেছে এবং লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তাদেরকে ভেতরে খাবার দেয়া হয়েছিল। এটা স্পষ্ট যে, স্থানীয় মানুষের সাহায্য পেয়েছে তারা।
রিপোর্টে সদস্যরা বলেছেন, ‘আমাদের পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে, দিল্লীর উত্তরপূর্ব জেলায় সহিংসতা ছিল একতরফা এবং সুপরিকল্পিত। এবং এতে মুসলিম ঘরবাড়ি, দোকানপাটের ক্ষতি করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি এবং এতে স্থানীয়রা সহায়তা করেছে। বড় ধরণের সাহায্য না পেলে এরা তাদের জীবন পুনরায় গড়ে তুলতে পারবে না। আমরা মনে করি, দিল্লী সরকার যে সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, সেটা এ জন্য যথেষ্ট নয়।’ সূত্র: এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।