প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
অবশেষে ভেঙে গেল চিত্রনায়িকা শাবনূরের সংসার। গত কয়েক বছর ধরেই শাবনূরের সংসার ভাঙার গুঞ্জণ ছিল। স্বামী অনিক মাহমুদের সাথে তার দূরত্ব ছিল বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই। দুজনে আলাদা থাকতেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাবনূর বরারবরই বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিলেন। বলেছেন, তারা একসঙ্গেই থাকেন। তবে শাবনূর বছরের বেশিরভাগ সময় অস্ট্রেলিয়া থাকলেও অনিক সেখানে থাকতেন না। দেশে এলেও শাবনূর তার বাসায় থাকতেন। অনিকের সাথে দেখা-সাক্ষাৎও কম করতেন। এসব ঘটনা সত্য প্রমাণ করে অবশেষে শাবনূর অনিক মাহমুদকে ডির্ভোস লেটার পাঠিয়েছেন। গত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিককে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। তার সই করা নোটিশটি এডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। তালাকের নোটিশে শাবনূর বলেছেন, আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় সন্তান এবং আমার যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছে। এডভোকেট কাওসার আহমেদ জানান, তালাক নোটিশের অনুলিপি তার স্বামী অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। এই তালাক নোটিশে স্বাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন। শাবনূর বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি অনিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করেছেন শাবনূর। গত ৪ ফেব্উয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় সেই নোটিশ পাঠানো হয়। উত্তরার নোটিশটি ফেরত এলেও গাজীপুরের ঠিকানায় পাঠানো নোটিশ এখনো ফেরত আসেনি। ধরে নিচ্ছি তিনি সেটি পেয়েছেন এবং গ্রহণ করেছেন। আইনগতভাবে ৯০ দিন পর তাদের এই তালাক কার্যকর হবে। ডিভোর্সের কথা স্বীকার করে শাবনূর বলেছেন, আমি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি অনিককে। আসলে আমার কিছু করার নেই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তিনি বলেন, আমার ছেলে আইজান জন্মানোর পর থেকেই আসলে আমাদের স¤পর্কটা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ছয়টা বছর নীরবে তার অত্যাচার সহ্য করেছি। চেয়েছি সংসারটা আগলে রাখবো, পারিনি। অনেক আগে থেকেই আমরা আলাদা থাকছি। দফায় দফায় বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। বাধ্য হয়েই ২৬ জানুয়ারি অনিককে ডিভোর্স নোটিশ পাঠিয়েছি। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে তাদের এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।