Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরিয়ায় যুদ্ধের গতিপথ পাল্টে দিয়েছে তুর্কি ড্রোন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২০, ৮:৩১ পিএম

চলতি সপ্তাহের শুরুতে তুর্কী সেনাবাহিনী ড্রোন, আর্টিলারি ও বিমান হামলা চালিয়ে সিরীয় সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। এর ফলে তুর্কী আক্রমণ বন্ধে কতটা হস্তক্ষেপ করা উচিত সে বিষয়ে সংকটে পড়ে গেছে সিরিয়ার প্রধান মিত্র রাশিয়া।

তুরস্ক তাদের শক্তিশালী বিমানবাহিনীর অত্যাধুনিক ড্রোন এবং উচ্চ প্রযুক্তির এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বহরের মাধ্যমে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা সিরিয়ার কমপক্ষে দুইটি জেট যুদ্ধবিমান, আটটি হেলিকপ্টার, ১৩৫ টি ট্যাঙ্ক, ৫টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ৭৭টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করেছে। এর সাথে প্রায় ২,৫০০ সিরীয় সেনাও নিহত হয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। সিরিয়ার সামরিক বাহিনী হামলা থেকে তাদের সামনের সারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং আর্টিলারি ইউনিটগুলি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এগুলো সস্তা কিন্তু অত্যন্ত নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল।

সিরিয়ায় তুরস্কের ড্রোন সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি নজরে এসেছে। এই ড্রোন দিয়েই সিরিয় সেনাবাহিনীর ভিত্তি কাপিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। ড্রোন সক্ষমতায় তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম সেরা শক্তি বলে প্রমাণিত হয়েছে। ২০০৫ সালে তারা এই প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ শুরু করে। বর্তমানে তুরস্ক নিজেই ড্রোন নির্মাণ করে। তাদের নির্মিত বৃহত্তম ‘আনকা’ ড্রোনের পাশাপাশি তুরস্ক এখন ‘বায়ারাক্টর টিবি ২’ এর মতো ড্রোন ব্যবহার এবং রফতানি করে।

এ রকম শত শত তুর্কি ড্রোন ইদলিবে সিরিয়ার শাসক বাহিনীর উপরে ব্যপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এর ফলে আসাদের সমর্থক রাশিয়া, ইরান এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে উদ্বেগ দেখা যায়। তথ্য অনুসারে, তুরস্কের ‘বায়ারাক্টর টিবি ২’ ড্রোনে ২২.৫ কেজি পরমাণবিক বোমা পরিবহনে সক্ষম ওয়্যারহেড যুক্ত রয়েছে। আনকা ড্রোনও রোকেস্তানের তৈরি এমএএম-এল স্মার্ট যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে।

সামগ্রিকভাবে সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তুর্কি ড্রোন মোকাবিলায় সক্ষম প্রমাণিত হয়নি। তারা দেখিয়েছে ড্রোনগুলো এমন সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে যেখানে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে এফ-১৬ এর মতো যুদ্ধ বিমান দিয়ে হামলা চালানো সম্ভব নয়। তারা ড্রোনগুলোকে কৌশলগতভাবে যুদ্ধের ময়দানে কার্যকর করেছে এবং বিশাল সাফল্য পেয়েছে। এর আগে কোন যুদ্ধে এত বেশি পরিমাণ ড্রোন ব্যবহৃত হতে দেখা যায় নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলও সামরিক অভিযানে ড্রোন ব্যবহার করেছে, তবে ইদলিবে তুরস্ক অনন্য কর্মক্ষমতা দেখিয়েছে, যা আগামি বছরগুলিতে অন্যান্য দেশও শেখার চেষ্টা করবে। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, দ্য জেরুজালেম পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরিয়া-তুরস্ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ