পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্ত সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছে বলে ঘোষণা করলন তুর্কি প্রধানমন্ত্রী। সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী তুরস্কের সহযোগিতায় সব সন্ত্রাসী সংগঠন বিতাড়িত করেছে। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তুরস্ক সীমান্তে সিরিয়ার মধ্যে সন্ত্রাসীদের আস্তানাগুলো ধ্বংস হয়েছে। কুর্দি যোদ্ধাদেরও তুরস্ক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে। তুর্কি বাহিনীর এই সাফল্যের ফলে জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অস্ত্র ও যোদ্ধা সরবরাহের পথ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম গত রোববার এক টেলিভিশন ভাষণে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তাদের সফলতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া, এখন আজাজ থেকে জারাবলুস পর্যন্ত সীমান্তের ৯১ কিলোমিটার সম্পূর্ণ নিরাপদ। তিনি আরো বলেন, সব সন্ত্রাসী সংগঠনকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তাদের অধ্যায় শেষ হয়েছে। আইএসের পাশাপাশি সিরিয়ার কুর্দিদের সামরিক শাখা ওয়াইপিজে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে তুরস্ক। তবে ওয়াইপিজে-কে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের সাহায্য করে আসছে মার্কিন প্রশাসন। তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে তারা ঘাঁটি গাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ইলদিরিম বলেছেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কোনো ‘কৃত্রিম রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে না তার দেশ। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, আইএস পিছু হটার পর সিরিয়া-তুরস্কের মধ্যবর্তী বেশ কিছু গ্রাম দখল করে নিয়েছে সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী এবং ছোট ছোট কয়েকটি ইসলামপন্থি গোষ্ঠী। এদিকে, সিরিয়ার আলেপ্পোর পূর্বে যে অংশ গত মাসে বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছিল, তা পুনরুদ্ধার করেছে সরকারি বাহিনী। বিদ্রোহীদের দুটি সামরিক আস্তানা দখল করে নিয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সেনারা। এতে সাহায্য করে সিরিয়া ও রাশিয়ার বিমান হামলা। আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস করে। গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর আলেপ্পোর বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় নানা দল-উপদলের অধীনে। পূর্ব দিকে রয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণ এবং পশ্চিমে সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ। তবে পূর্বের চেয়ে পশ্চিমে জনসংখ্যা অনেক বেশি।
অপর এক কবরে জানা যায়, সিরিয়ার ভিতরে প্রবেশ করেছে তুরস্কের ট্যাংক। সিরিয়ার বিদ্রোহী মিত্রদের সহায়তায় তারা উত্তর সিরিয়ায় আক্রমণ তীব্র করেছে। গত শনিবার তুরস্কের ট্যাংক কিলিস প্রদেশ থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ার ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর পশ্চিমাঞ্চলে বিভিন্ন গ্রামে হামলা করে। এসব গ্রাম আইএসের নিয়ন্ত্রণে বলে ধারণা করা হয। বিদ্রোহীদের সমর্থন নিয়ে তুরস্ক আইএসকে হঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বলে খবরে বলা হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিদ্রোহীরা তুরস্কের সমর্থনে জারাব্লুস শহর তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। তুরস্কের এ অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ইউফ্রেটিস শিল্ড। সিরিয়ায় ৫ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চললেও এর আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে এটিই তুরস্কের পূর্ণদমে অভিযান। শনিবার তাদের ট্যাংক সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশ করে আল রাই শহরে। এ শহরটি জারাব্লুস থেকে ৫৫ কিলোমিটার পশ্চিমে। তুরস্ক সীমান্তের কাছে ৯০ কিলোমিটার করিডোরের অংশ এটি। আল-জাজিরা, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।