Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দিল্লি সহিংসতা নিয়ে আলোচনার দাবি, দ্বিতীয় দিনেও হট্টগোল লোকসভা-বিধানসভায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২০, ৭:০৫ পিএম | আপডেট : ৭:২৩ পিএম, ৩ মার্চ, ২০২০

বিরোধী দলের সদস্যরা দিল্লির সহিংসতার বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক আলোচনার চেষ্টায় সরব হলে গতকাল টানা দ্বিতীয় দিন ভারতে লোকসভা ও রাজ্যসভার উভয় কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে।
দিল্লির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ইস্যু নিয়ে এদিন পরপর দ্বিতীয় দিন সংসদ প্রাঙ্গণে আপ সংসদ সদস্যরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে একটি যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন ও নারকো টেস্টের দাবি জানান।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাত করেছেন এবং এই দুই নেতা দাঙ্গা-আক্রান্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং, ভগবন্ত মন, এন ডি গুপ্ত এবং সুশীল গুপ্ত সংসদ মহলে মহাত্মা গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ করেন।
সিং দাবি করেন, ‘দিল্লির সহিংসতা খতিয়ে দেখার জন্য একটি যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) গঠন করতে হবে, উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেয়ার জন্য দায়বদ্ধ রাজনৈতিক দলের নেতাদের নারকো টেস্ট সরাসরি সম্প্রচার করা উচিত, ‘সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারক বা হাইকোর্ট দ্বারা বিচারিক তদন্ত পরিচালনা করা উচিত’। সোমবার চার সংসদ সদস্য সংসদ কমপ্লেক্সের ভিতরে প্রতিবাদ করেছিলেন।
উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সহিংসতায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
কংগ্রেস গতকাল বলেছে যে, দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে উভয় সভায় বিতর্কের অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের উচিত তার ‘দুর্বলতা’ ত্যাগ করা এবং বলেছে যে, এ বিষয়ে ‘পার্লামেন্টের নীরবতা’ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দুর্বল প্রতিফলন ঘটবে।
বিজেপি সংসদীয় পার্টির বৈঠকে ভাষণ দিয়ে গিয়ে মোদি বলেছিলেন, ‘ভারত মাতা কি জয় সেøাগানকে কেন্দ্র করে যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামের পরে ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে আপত্তি উত্থাপিত হয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক একটি ইভেন্টে মনমোহন সিং বলেছিলেন যে, ‘ভারত মাতা কি জয়’ সেøাগানটির লক্ষ লক্ষ বাসিন্দা ও নাগরিককে বাদ দিয়ে ভারতের একটি ‘জঙ্গি এবং খাঁটি সংবেদনশীল’ ধারণা তৈরির জন্য অপব্যবহার করা হচ্ছে।
শর্মা বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনক যে, মি. সিংয়ের মন্তব্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সঠিক চেতনায় গ্রহণ করেননি।
রাজ্যসভার বিরোধী উপ-নেতা বলেছেন, কংগ্রেস নেতারা চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং সরকারকে দিল্লির দাঙ্গা নিয়ে তাৎক্ষণিক আলোচনা শুরু করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
শর্মা বলেছিলেন, ‘সংসদের কেবল (দিল্লির দাঙ্গা) নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়, জবাবদিহিতাও ঠিক করা দরকার, সংসদীয় গণতন্ত্রের বিষয়টি ঠিক এটাই’।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে উচিত ভারতীয় গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে তার দুর্বলতা, কঠোরতা ত্যাগ করা এবং ইস্যুতে আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করে ভারতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠানের সম্মান করা’।
শর্মা বলেছেন, দিল্লির জনগণ এবং দেশজুড়ে নাগরিকদের কাছে এই বার্তা দেয়ার সময় এসেছে যে, সংসদ, দল নির্বিশেষে সম্মিলিতভাবে উদ্বিগ্ন এবং জাতীয় রাজধানীতে যা ঘটেছিল তা যৌথভাবে নিন্দা জানিয়েছে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ