মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিল্লির হিংসায় উসকানি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আদালতও নির্দেশ দিয়েছিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার। তবে অভিযোগ দায়ের না করে উল্টো দিল্লি বিজেপির সেই নেতা কপিল মিশ্রকে দেয়া হল ওয়াই প্লাস সুরক্ষা বলয়। তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় সবসময় তার সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মী থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। অথচ, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
দিল্লি পুলিশের বিশেষ সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, কপিল মিশ্রের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে দিনরাত তার সঙ্গে সশস্ত্র গার্ড থাকবে। তাকে দেয়া হবে ওয়াই প্লাস সুরক্ষা বলয়। বিজেপি নেতা প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পরই তার নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশের সূত্রটি।
কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুর-সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ‘এফআইআর’ দায়েরের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্য নিয়ে শুনানিতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে অশান্তি ছড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, আর তাই তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করা হোক- এই মর্মে আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দিল্লি সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ। আগামী বুধবার সেই মামলার শুনানিতে রাজি হয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবড়ের আক্ষেপ, তারাও চান শান্তি বজায় থাকুক, কিন্তু এ ধরনের ঘটনা তারা ঠেকাতে পারবেন না। তাদের হাতে সেই ক্ষমতা নেই।
দিল্লি সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে লড়ছেন প্রবীণ আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেস। তার বক্তব্য ছিল, গত সপ্তাহে তারা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্ট বিষয়টিকে ছ’সপ্তাহ পিছিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন যে নেতারা, তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান জানাতে কেন্দ্রকে এই সময় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এ দিন সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী গঞ্জালভেসের যুক্তি ছিল, যেখানে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে, সেখানে শুনানি কী ভাবে এতদিন পিছিয়ে দেওয়া হল? এ ব্যাপারে জরুরি শুনানি করা হোক।
গঞ্জালভেসের এই বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়েই কোর্টের উপর চাপের প্রসঙ্গ তুলে আনেন প্রধান বিচারপতি বোবড়ে। তার বক্তব্য, ‘আমরা বলছি না, মানুষকে এ ভাবে মরতে দেয়া উচিত। কিন্তু আমরা এ ধরনের ঘটনা আটকাতে পারব না। আমরাও খবরের কাগজ পড়ি, জানি সেখানে কী ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে। কোর্টকে দোষারোপ করা হচ্ছে। কিন্তু কোনও ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর তা কোর্টের হাতে আসে, এ ধরনের ঘটনা ঠেকানোর ক্ষমতা কোর্টের নেই। ফলে, আমাদের উপর এই চাপ তৈরি করা অর্থহীন। এত চাপ সামলানোর ক্ষমতা আমাদের নেই।’ সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।