Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২ অপরিচিত পুরুষ জড়িত অগ্রগতি প্রতিবেদনে র‌্যাব

সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যা মামলা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন নাহার রুনি হত্যায় দুই অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব। সাগর ও রুনির পোশাকে তাদের ডিএনএ পাওয়া গেছে। তবে ডিএনএ প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। আলোচিত এই হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদনে র‌্যাব এসব তথ্য জানিয়েছে। র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোমবার বিকেলে প্রতিবেদনটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের খন্দকার শফিকুল আলম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের ঘটনায় দুজন অপরিচিত পুরুষ জড়িত ছিল। সাগরের হাতে বাঁধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ওই দুই পুরুষের ডিএনএ’র প্রমাণ মিলেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করে র‌্যাব। যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো ডিএনএ নমুনার সঙ্গে অপরিচিত দুই ব্যক্তির ডিএনএ’র মিল পাওয়া গেছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মামলার অন্যতম আসামি তানভির রহমানের আচরণ রহস্যজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে অগ্রগতি প্রতিবেদনে। এই মামলায় তাকে বিচারিক আদালতে ব্যাক্তিগত হাজিরা থেকে রেহাই দেওয়া যুক্তিযুক্ত হয়নি। এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ৪ মার্চ বা তার আগে এ মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে এবং সাগর-রুনি হত্যা মামলায় আটক আসামি তানভিরের জড়িত থাকার বিষয়ে একটি প্রতিবেদন হলফনামাসহ দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এ প্রতিবেদন দাখিল করেছে র‌্যাব। আদালতে ওই দিন তানভিরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। এ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি মো. তানভির রহমানের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন এবং গত ৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত ডিআইজি খন্দকার শফিকুল আলম হাইকোর্টে হাজির হলে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরের দিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় রুনির ভাই বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন এসআই। পরে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু হত্যার আট বছর পেরিয়ে গেলেও প্রতিবেদন জমা পড়েনি আদালতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ