Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মিথ্যা অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত হন মোরালেস : এমআইটি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী। তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে জনগণের একাংশও। ক্ষমতা হারিয়ে মোরালেস এখন মেক্সিকোতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এর ইলেকশন ডেটা এবং সায়েন্স ল্যাবের এক গবেষণা দেখা যাচ্ছে, বলিভিয়ার নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি। ২০০৬ সালে নির্বাচনে জিতে প্রথম ক্ষমতায় আসেন মোরালেস। কয়েক মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে দারিদ্র্য মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বেশ সফলতা দেখান তিনি। কিন্তু ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে জনগণের বিক্ষোভের মুখে পড়েন মোরালেস। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর আহ্বানে ১০ নভেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন। তবে তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ক্যু করা হয়েছে বলে অভিযোগ মোরালেসের। ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, নির্বাচন থেকে শুরু করে মোরালেসের পদত্যাগের পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করেন এমআইটির গবেষকেরা। মোরালেসের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির ভুয়া বিতর্ক তুলে সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে কী না-বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখেন। এমআইটি গবেষক জন ক্রুয়েল এবং জ্যাক আর উইলিয়ামস বলেন, ‘নির্বাচনে কারচুপির কোনো ধরনের পরিসংখ্যানগত তথ্যপ্রমাণ আমরা খুঁজে পাইনি।’ এর ফলে দেশটিতে নির্বাচনের পর মার্কিন গবেষণা সংস্থা অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেস্টস (ওএএস)-এর প্রতিবেদন ত্রুটিযুক্ত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ওএএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বলিভিয়ার নির্বাচনে ভয়াবহ অনিয়ম এবং ভোটিং সিস্টেমে স্পষ্ট কারচুপি হয়েছে। এদিকে মোরালেস এক টুইট বার্তায় বলেছেন, বলিভিয়ার জনগণ এবং পুরো বিশ্বের কাছে ওএএসকে অনেক কিছুর ব্যাখ্যা দিতে হবে। ওয়াশিংটন পোস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ