পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনীর হামলায় ৩৪ তুর্কি সেনা নিহত হওয়ার পর সিরিয়ায় ‘স্প্রিং শিল্ড’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। গোটা সিরিয়াজুড়ে আসাদ বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তুর্কি সেনাবাহিনী। রবিবার তুরস্কের একটি ড্রোন ভূপাতিত করলে পাল্টা হামলা চালিয়ে আসাদ বাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে তুর্কি সেনারা। এছাড়া আলেপ্পোর দুটি এবং হামা শহরের একটি বিমান ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। এতে আলেপ্পোর দুটি বিমান ঘাঁটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে তুর্কি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। এদিকে, দুটি এসইউ-২৪ যুদ্ধবিমান ভ‚পাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে সিরিয়া। তবে পাইলটরা নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সানা। এর আগে ইদলিব অঞ্চলের ওপরে সব ধরনের বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করে আসাদ সরকার। এরপরই তুর্কি ড্রোনটি ভ‚পাতিত করেছিল সিরীয় বাহিনী। এদিকে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার পর ইদলিব অঞ্চলে তুরস্কের কোনো ধরনের বিমানের নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আসাদের মিত্র রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ইদলিবকে ‘ডি-এস্কেলেশন জোন’ ঘোষণা করে গত ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে চুক্তি সই করে রাশিয়া ও তুরস্ক। এই চুক্তি অনুযায়ী ইদলিবে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া নিষিদ্ধ। চুক্তি কার্যকরের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে সেখানে বেশকিছু পোস্ট বসায় তুরস্ক। কিন্তু সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১২ জানুয়ারি থেকে ব্যাপক হামলায় চালিয়ে ইদলিবের প্রায় অর্ধেক দখল করে নেয় রাশিয়া ও সিরীয় সরকারি বাহিনী। এতে নিহত হয় প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন। বাস্তুচ্যুত হয় কয়েক লাখ সিরীয়। এমনিতে লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থীর ভারে ন্যুব্জ তুরস্ক। দেশটির জনগণের মাঝে তাদের নিয়ে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নতুন করে কয়েক লাখ সিরীয় শরণার্থী ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যায় তুরস্ক। আল-জাজিরা জানায়, তুরস্ক চুক্তি অনুযায়ী ইদলিবের নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম না করতে রুশ ও সিরীয় সরকারি বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু এই আহ্বান উপেক্ষা করে অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করে রুশ ও সিরীয় বাহিনী। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ‘আস্তানা শান্তি প্রক্রিয়া’। আনাদোলু, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।