Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরিয়ার ২ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত ৩ বিমান ঘাঁটিতে তুর্কি হামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনীর হামলায় ৩৪ তুর্কি সেনা নিহত হওয়ার পর সিরিয়ায় ‘স্প্রিং শিল্ড’ নামে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। গোটা সিরিয়াজুড়ে আসাদ বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তুর্কি সেনাবাহিনী। রবিবার তুরস্কের একটি ড্রোন ভূপাতিত করলে পাল্টা হামলা চালিয়ে আসাদ বাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে তুর্কি সেনারা। এছাড়া আলেপ্পোর দুটি এবং হামা শহরের একটি বিমান ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। এতে আলেপ্পোর দুটি বিমান ঘাঁটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে তুর্কি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। এদিকে, দুটি এসইউ-২৪ যুদ্ধবিমান ভ‚পাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে সিরিয়া। তবে পাইলটরা নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সানা। এর আগে ইদলিব অঞ্চলের ওপরে সব ধরনের বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করে আসাদ সরকার। এরপরই তুর্কি ড্রোনটি ভ‚পাতিত করেছিল সিরীয় বাহিনী। এদিকে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণার পর ইদলিব অঞ্চলে তুরস্কের কোনো ধরনের বিমানের নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে আসাদের মিত্র রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ইদলিবকে ‘ডি-এস্কেলেশন জোন’ ঘোষণা করে গত ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে চুক্তি সই করে রাশিয়া ও তুরস্ক। এই চুক্তি অনুযায়ী ইদলিবে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া নিষিদ্ধ। চুক্তি কার্যকরের বিষয়টি পর্যবেক্ষণে সেখানে বেশকিছু পোস্ট বসায় তুরস্ক। কিন্তু সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১২ জানুয়ারি থেকে ব্যাপক হামলায় চালিয়ে ইদলিবের প্রায় অর্ধেক দখল করে নেয় রাশিয়া ও সিরীয় সরকারি বাহিনী। এতে নিহত হয় প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন। বাস্তুচ্যুত হয় কয়েক লাখ সিরীয়। এমনিতে লাখ লাখ সিরীয় শরণার্থীর ভারে ন্যুব্জ তুরস্ক। দেশটির জনগণের মাঝে তাদের নিয়ে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নতুন করে কয়েক লাখ সিরীয় শরণার্থী ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে যায় তুরস্ক। আল-জাজিরা জানায়, তুরস্ক চুক্তি অনুযায়ী ইদলিবের নির্দিষ্ট সীমানা অতিক্রম না করতে রুশ ও সিরীয় সরকারি বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু এই আহ্বান উপেক্ষা করে অভিযান অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করে রুশ ও সিরীয় বাহিনী। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে ‘আস্তানা শান্তি প্রক্রিয়া’। আনাদোলু, আল-জাজিরা।



 

Show all comments
  • Kausar Ahmed Chowdhury ৩ মার্চ, ২০২০, ৩:৩৪ এএম says : 1
    বাসারের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে!!!! সিরিয়ার ধংসের মুল কারণ এই মাদারটেক আসাদ সরকার!!! এই পযন্ত ৫ লাখেরব বেশী মুসলিম নিহত হয়েছে ধারণা করা যায় আর ১৫--২০ লাখের মতো মানুষ গৃহ ছাড়া হয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • Saiful Islam ৩ মার্চ, ২০২০, ৩:৩৭ এএম says : 0
    ক্ষমতার প্রতি লোভের কারণে আসাদ সিরিয়ার লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করে টিকে আছে। এর পতন ছাড়া সিরিয়ায় শান্তি আসবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Ariful Islam ৩ মার্চ, ২০২০, ৩:৩৮ এএম says : 0
    কি যে এক্টা অবস্তা
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Sajol ৩ মার্চ, ২০২০, ৩:৩৯ এএম says : 0
    সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের প্রায় ৯ লক্ষ মুসলমান মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে । এর জন্য দায়ী সিরিয়ার শিয়া প্রধানমন্ত্রী বাশার আল আসাদ । নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য সুন্নি মুসলমানদেরকে নির্বিচারে হত্যা করছে আর তাদের বাধ্য করা হচ্ছে তার ক্ষমতার প্রতি আনুগত্য স্বীকার করা । বর্তমানে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে ব্যাপকভাবে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে এছাড়া সেখানে তাপমাত্রা প্রায় জিরো ডিগ্রির কাছাকাছি বা তার চেয়েও নিচে । একদিকে খাবারের সংকট অন্যদিকে আবহাওয়ার দুরবস্থা সত্যিই দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করছে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের প্রায় ৯ লক্ষ সুন্নি মুসলমান । আর এখানে একটি লক্ষণীয় বিষয় বাশার আসাদকে সরাসরি মদধ দিয়ে আসছে ইরানি শিয়া সম্প্রদায় । অতএব আপনারা যারা ইরানের পারমাণবিক বোমা আছে , অনেক যুদ্ধ অস্ত্র আছে । তারা মুসলমানদের রক্ষায় এগিয়ে আসবে এ আসায় বসে আছেন তাদের কপালে কিন্তু দুর্ভোগ আছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Dauder Rahman ৩ মার্চ, ২০২০, ৩:৪০ এএম says : 0
    সারা পৃথিবীতে মুসলমান অমুসলমান সবাই আজ ব্যস্থ নিরীহ মুসলমানদের হত্য আর অত্যাচার করতে । এই অত্যাচার থেকে নারী শিশু বাদ যায়না .আললাহ তুমি সারা পৃথিবীর মুসলমানদের রক্ষা কর আর তাদের ইমানী শক্তি বাড়াই দাও এবং তাদের হেফাজত কর ।
    Total Reply(0) Reply
  • Monjur Rashed ৩ মার্চ, ২০২০, ১০:৩২ এএম says : 0
    Reality is that President Bashar has survived successfully withstanding all obstacles in last eight years. This success is praise-worthy.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরিয়া

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ