মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, ‘ভারতের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তার কারণ আছে। দিল্লিতে যা ঘটেছে ভারতবাসী হিসাবে আমি উদ্বিগ্ন।’ শনিবার শান্তিনিকেতনে এক আলোচনা সভায় বিতর্কিত ও ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দিল্লির সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি এই কথা বলেন।
আলোচনা সভায় ‘ধর্ম নিরপেক্ষ’ দেশে মুসলিম হত্যা কেন- প্রশ্ন রেখে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, যাদের নির্যাতন করা হচ্ছে আর যারা নিহত হচ্ছেন তাদের মধ্যে মুসলমান ও সংখ্যালঘু স¤প্রদায় অনেক বেশি। ভারত একটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেখানে হিন্দু-মুসলমানে পার্থক্য করলে তো চলবে না। এটা যদি ঘটতেই থাকে তাহলে নিশ্চয়ই চিন্তার বড় কারণ আছে।
তিনি বলেন, ‘দিল্লির আইনশৃঙ্খলা কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রিত। সেখানে যদি মুসলমানদের ওপর অত্যাচার হয়, আর সেই অত্যাচার যদি পুলিশ আটকাতে না পারে বা প্রয়োজনীয় চেষ্টাও না করে, এমন অভিযোগ সঠিক হলে চিন্তা করার নিশ্চয়ই কারণ আছে। ’
অমর্ত্য সেন বলেন, গন্ডগোল হচ্ছে, কিন্তু কী কারণে হচ্ছে, দোষটা কোথায় হচ্ছে, সরকারি চেষ্টার অভাবের জন্য নাকি পুলিশের অক্ষমতার জন্য, সেগুলো আমাদের বিচার করতে হবে। আমি নানা বিচারে বিশ্বাসী। কিন্তু বিচার না করেই জবাব দেয়ায় বিশ্বাসী নই। দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে তিনি আরও বলেন, এখানে কোনো বচসার জায়গা আছে বলে মনে করি না। যেখানে সামাজিক যুদ্ধ চলছে, সেখানে পরিস্থিতি শান্ত করাটা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু তার সঙ্গে অন্য দলের সমালোচনা করলে তাদের সুবিধা হবে না, এটা মনে করার কারণ দেখি না।
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া হিন্দুত্ববাদী তান্ডবে নিহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিহতের সংখ্যা ছিল ২৭, পরদিন বৃহস্পতিবার ৩৮-এ পৌঁছায়। আর শুক্রবার এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪২-এ।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২১ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ আহতদের মধ্যে অনেকে এখনও ঝুঁকিমুক্ত নন। দৃষ্টিশক্তিও পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছেন অনেকে। সূত্র : ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।