Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০১৪ সাল থেকে ভুল পথে দৌড়াচ্ছে ভারত : অমর্ত্য সেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৮, ১:১৫ এএম

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বিজেপি-নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, ২০১৪ সালের পর থেকে দেশ ভুল পথে লাফিয়ে লাফিয়ে চলছে। সেন বলেন, “পরিস্থিতির খুবই অবনতি হয়েছে, ২০১৪ সাল থেকে ভুল পথে কোয়ান্টাম ঝাঁপ দিয়েছে দেশ। দ্রæততম-বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে আমরা পেছনের দিকে চলছি”।

উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ জেন ড্রেজের সাথে যৌথভাবে একটি বই লিখেছেন অমর্ত্য সেন। ‘অ্যান আনসার্টেইন গেøারি : ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইটস কনট্রাডিকশান’ শিরোনামের ওই বইয়ের হিন্দি ভার্সনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেন বলেন, অর্থনীতি নিচের দিকে চলেছে। উপমহাদেশের ভারতের অবস্থান এখন দ্বিতীয় নিম্নতম পর্যায়ে। ২০ বছর আগে এ অঞ্চলের ছয়টি দেশের মধ্যে শ্রীলঙ্কার পরে দ্বিতীয় সেরা অর্থনীতির দেশ ছিল ভারত। “এখন এটা অবনতির দিক থেকে দ্বিতীয়। পাকিস্তানের কারণে সবচেয়ে খারাপ হতে পারেনি এখনও ভারত”।
তিনি আরও বলেন, সরকার অসাম্য এবং জাত প্রথার সমস্যা সমাধানেরও চেষ্টা করেনি। তিনি বলেন, একটা বিশেষ জাত রয়েছে যারা খালি হাতে মানব বর্জ্য ও আবর্জনা পরিষ্কার করে আসছে। কিন্তু তাদের দাবি বা চাহিদার দিকে কোনদিনও ফিরে তাকানো হয়নি।
স¤প্রতি মধ্য প্রদেশের এক পেট্রোল পাম্পে কর্মরত একজন দলিত ব্যক্তি তার বেতন বাড়ানোর দাবি জানালে তাকে চাবুক দিয়ে পেটানো হয়। এই খবরের কথা উল্লেখ করে সেন বলেন, পরের বেলার খাবার, স্বাস্থ্যসেবা বা শিক্ষা কোথা থেকে জুটবে, সেটাও জানে না এই দলিতরা।
বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন যে, স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এটা বোঝা কঠিন ছিল যে, কীভাবে হিন্দু পরিচয়কে মূলধন করে রাজনৈতিক যুদ্ধে জেতা যায়। কিন্তু সেই অবস্থা এখন বদলে গেছে। ৮৪ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, “কিন্তু সেটাই এখন ঘটছে। আর সে কারণেই সমস্ত বিরোধী পক্ষের একজোট হওয়াটা এখন গুরুত্বপূর্ণ। এটা কোন এক শক্তির বিরুদ্ধে আরেক শক্তির লড়াই নয় বা মোদির বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীর লড়াই নয়। ভারত আসলে কী, সেটাই এখানে প্রধান ইস্যু”।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচ্চাকাক্সক্ষী স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রসঙ্গে উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী জিন ড্রেজ বলেন, শিগগিরই এটা প্রতারণা হিসেবে প্রমাণিত হবে। কারণ যেমনটা দাবি করা হয়েছে, এটা মোটেই তেমন বড় কিছু নয়। তিনি বলেন, “এ বছরের বাজেটের আকার (স্কিমের জন্য) ২০০০ কোটি। এটা যদি ব্যয়ও করা হয়, তাহলে মাথাপিছু এর পরিমাণ দাঁড়াবে ২০ রুপি মাত্র”।
ড্রেজ বলেন, এটাকে ৫০ কোটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য ইন্সুরেন্সের কাজ করবে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এটা কিছুই না। ড্রেজ মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিমের (এমজিএনআরইজিএ) প্রথম ভার্সনের খসড়া তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন। সূত্র : ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অমর্ত্য সেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ