Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কলকাতায় অমিত শাহ: পদযাত্রা থেকে গাদ্দারদের ‘গুলি করো’ স্লোগান

কালো পতাকা প্রদর্শন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২০, ৪:৩৯ পিএম

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতা অমিত শাহ্ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থনে এক পদযাত্রায় অংশ নিতে রোববার (১ মার্চ) কলকাতা পৌঁছেছেন। কলকাতার শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রা থেকে ‘গাদ্দারদের গুলি করো’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
এর আগে, উত্তর প্রদেশের উদাহরণ টেনে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি প্রধান দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, সিএএ বিরোধীদের গুলি করে মারা হবে।
প্রসঙ্গত, রাজধানী দিল্লিতে এই আইনের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে প্রাণঘাতি সংঘর্ষ সংগঠিত হওয়ার পর এবার পশ্চিমবঙ্গের সিএএবিরোধী আন্দোলন দমাতে একই ধরণের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ¯েøাগান ব্যবহার করল বিজেপির নেতাকর্মীরা। তবে, এই স্লোগানের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের কোনো মন্তব্য নিতে পারেনি সংবাদমাধ্যম।
এদিকে কলকাতায় পা রেখেই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অমিত শাহ। বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কালো পতাকা বামেদেরে। বিমানবন্দরের সামনে বিক্ষোভ- স্লোগান বামেদের। ‘অমিত শাহ গো ব্যাক’ স্লোগানের মুখরিত বিমানবন্দর চত্বর। পার্ক সার্কাসেও অমিত শাহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে হিংসার আগুনে রক্তাক্ত হয়েছে দেশের রাজধানী। সিএএ-র প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে বাংলাতেও। এই প্রেক্ষাপটে সিএএ-র সমর্থনে প্রচারে আজ কলকাতায় অমিত শাহ। দুপুরে শহিদ মিনারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা ঘিরে রবিবাসরীয় কলকাতায় সাজ সাজ রব। অমিত শাহের কলকাতা সফর প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ সিএএ-এনআরসি করতে দেবে না। কে এল আর গেল, ভাবছি না। অমিত শাহের সফরে আমরা চিন্তিত নই’’।
অন্যদিকে, অমিত শাহের সভায় পুলিশি অনুমতি ঘিরে টালবাহানা চলছিল। যদিও শেষে শাহের সভায় সম্মতি দেয় কলকাতা পুলিশ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শাহের সভার আগেই গত ২৮ ফেব্রæয়ারি ভুবনেশ্বরে তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের আগেই শাহের সভায় কলকাতা পুলিশের ছাড়পত্র মেলাকে ঘিরে তুঙ্গে ছিল বঙ্গ রাজনীতি। উল্লেখ্য, অতীতে এ রাজ্যে অমিত শাহের একাধিক সভার অনুমতি দেয়নি মমতা সরকার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ