Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউরোপের দুয়ার খুলে দিল তুরস্ক, গ্রিস সীমান্তে শরণার্থীদের স্রোত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ পিএম

অবশেষে ইউরোপ তথা গ্রিস লাগোয়া সীমান্ত খুলে দিলো তুরস্ক। গত শুক্রবার খুলে দেয়ার পর সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার শরণার্থী ইউরোপে ঢোকার সময় গ্রিক পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। গতকাল শনিবার এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, তার সরকার জড়ো হওয়া শরণার্থীদের তুরস্ক থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথ খুলে দিয়েছে। যা তিনি আগেই বলেছিলেন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা লোকদের নতুন ¯্রােত আর সামলানো সম্ভব হচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ৩৩ জন তুর্কি সেনা নিহত হওয়ার পর আজ শনিবার ইস্তাম্বুলে দেয়া প্রথম ভাষণে এরদোগান বলেছিলেন, "আমরা সীমান্ত খুলে দিয়েছি, আমরা গতকালই তা করেছি।"
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, "আমরা এই সীমান্ত বন্ধ করব না, কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার প্রতিশ্রæতি রক্ষা করেনি। তাদের অবশ্যই প্রতিশ্রæতি রক্ষা করা উচিত ছিল।"
শুক্রবার দিনের প্রথমভাগেই শরণার্থী ও অভিবাসীরা সীমান্ত চৌকির দিকে অগ্রসর হয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেন, তাদের আটকানোর ক্ষেত্রে পুলিশ ও সীমান্ত প্রহরীদের বিরত থাকতে এবং সমুদ্র ও স্থলপথ হয়ে তাদের বের হওয়ার সুযোগ দিতে বলা হয়েছে।
সকালের আলো ফোটার আগেই পায়ে হেঁটে সীমান্তের দিকে রওনা দিয়েছেন শরণার্থীরা। ইস্তানবুলের উপকণ্ঠে একটি মহাসড়কে টেক্সিযোগে রওনা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা।
আফগান অভিবাসী সাহিন নেবিজাদি বলেন, আমরা টেলিভিশনে এমন খবর শুনেছি। আমরা ইস্তাম্বুলে বসবাস করছি। এখন আমরা এডিরন হয়ে গ্রিসে যাব। এতে ২০১৫-২০১৬ সালের মতো শরণার্থী সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তখন গ্রিসের সমুদ্র হয়ে ১০ লাখ লোক ইউরোপমুখে যাত্রা করেছিল। এছাড়াও বলকান হয়ে পায়ে হেঁটে তারা সীমান্ত অতিক্রম করেন।
তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে হামলার পর শুক্রবার এরদোগানের দলের মুখপাত্র ওমর কেলিক বলেন, তুরস্কের পক্ষে শরণার্থীদের আর ধরে রাখা সম্ভব না।
সিএনএন তুর্ককে তিনি বলেন, ওই হামলার কারণেই তুরস্কের শরণার্থীরা ইউরোপে রওয়ানা হয়েছে। এছাড়া যেসব শরণার্থী এখনো সিরিয়ায় আছে, তারাও তুরস্কে আসতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের শরণার্থী নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি, সেটা আগের মতোই আছে। কিন্তু এখন আমরা এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি যে, আমাদের পক্ষে আর তাদের ধরে রাখা সম্ভব না।
ডিসেম্বর পর্যন্ত তুর্কিশ সীমান্তের কাছে সিরিয়ার ভেতরে ১০ লাখ বেসামরিক লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
তুরস্ক ইতিমধ্যে তিন লাখ ৭০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন। তারা আর শরণার্থীর বোঝা বহন করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ