Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পাচারকারী থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

সীতাকুন্ডে কাতার প্রবাসীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শেখের হাট বাকখালী এলাকার নিরীহ ভুক্তভোগীরা। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় সীতাকুন্ড উপজেলা সুপার মার্কেট দ্বিতীয় তলায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফজলুল হক, ইকবাল হোসেন, সোহরাব হোসেন, নুর উদ্দিন ও ডাক্তার সজলশীল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মো. কামরুল হাসান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শেখেরহাট বাকখালী গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীন, মো. গিয়াস উদ্দিনসহ আমরা ভুক্তভোগী তিনজন বাসিন্দা হই। একই ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের বাকখালীর বাসিন্দা প্রবাসে অবস্থানরত সফিকুল ইসলাম আনু চিহ্নিত একজন মানবপাচারকারী লোক। তার অনুগত লোক নুরের ছাপা, মো. ইউসুফসহ উভয়ের পিতা নুরুল হক বাকখালীর রোকসানার স্বামী সফিকুল ইসলাম (আনু), পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের তাসলিমা আক্তার ও তার স্বামী নুর নবী, এয়াকুবনগর এলাকার টিটুর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে সীতাকুন্ড উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিরীহ লোকদের প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চিহ্নিত মানব পাচারকারী সফিকুল ইসলাম (আনু)। তার কর্মকান্ডে এলাকার সাধারণ মানুষ সর্বসান্ত হয়ে পড়েছে। ইতোপূর্বে আনুবাহিনীর লোকজন বিভিন্ন রকম লোভ লালসা দেখিয়ে কাতারের ভিসার মাধ্যমে আমার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সফিকুল ইসলামের স্ত্রী রোকসানা, তাছলিমা ও নুরুছাপার মাধ্যমে। পরে সফিকুল ইসলামের অনুগত লোকদের মাধ্যমে আমাকে কাতার নিয়ে যায়। একই কায়দায় জয়নাল আবেদীন ও গিয়াস উদ্দিনকেও কাতারে নিয়ে যান। কিন্তু কিছুদিন অতিবাহীত হওয়ার পর আমরা সফিকুল ইসলাম (আনুর) নিকট কাজ দেয়ার দাবি করলে নুরের ছাপা, নবীসহ তার লোকজন আমাদের সবাইকে গালাগাল ও একটি কক্ষে জিম্মি করে আরো মোটা অংকের টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে আমরা কান্নাকাটি করলে তারা জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আমরা দীর্ঘদিন আনু বাহিনীর হাতে আটক থাকার পর কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশি আজম খান, ইউসুফ, রনি, সোহরাব হোসেন ও আনোয়ার হোসেনের সহাতায় কোনো রকম সেখান থেকে মুক্তি পাই। এরপর আমাদের উদ্ধার করা বাংলাদেশীদের মাধ্যমে একটি সালিশী বৈঠক হয়। উক্ত বৈঠকে অভিযুক্ত সফিকুল ইসলাম অঙ্গিকার নামায় একটি স্টাম্প করেন এবং প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকা করে জনতা ব্যাংক সীতাকুন্ড শাখায় একটি চেক হস্তান্তর করলেও প্রতারক সফিকুল ইসলামের স্ত্রী টাকা না দাওয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে মানষিক ভাবে হয়রানি করে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। কোনো উপায় না দেখে অনেক কষ্টের বিনিময়ে অবশেষে চলতি মাসের ১৯ জানুয়ারীতে বাংলাদেশে ফেরত আসি আমরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাচারকারী

১৯ নভেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ