মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দ্বার খুলে দিয়েছে তুরস্ক, শত শত শরণার্থী দেশটির উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের দিকে রওয়ানা হয়েছেন। বুলগেরিয়া ও গ্রিস হয়ে তারা ইউরোপের উন্নত দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করবেন। ধারণা করা হচ্ছে এর ফলে আবারও শরণার্থী সংকটে পড়তে যাচ্ছে ইউরোপ।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান এর আগেও কয়েকবার ইউরোপকে শরণার্থী ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়ার ইদলিবে তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে বাশার আল-আসাদ বাহিনীর হামলায় ৩৩ তুর্কি সেনা নিহতের পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত আট বছর ধরে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ার সঙ্গে তুরস্কের যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
তুরস্কের সেনাঘাঁটিতে হামলার পর শুক্রবার এরদোগানের দলের মুখপাত্র ওমর কেলিক বলেন, তুরস্কের পক্ষে শরণার্থীদের ‘আর ধরে রাখা সম্ভব না’। সিএনএন তুর্ককে তিনি বলেন, ‘ওই হামলার কারণেই তুরস্কের শরণার্থীরা ইউরোপে রওয়ানা হয়েছে। এছাড়া যেসব শরণার্থী এখনো সিরিয়ায় আছে, তারাও তুরস্কে আসতে শুরু করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শরণার্থী নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি, সেটা আগের মতোই আছে। কিন্তু এখন আমরা এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি যে, আমাদের পক্ষে আর তাদের ধরে রাখা সম্ভব না।’
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই প্রায় তিনশ' শরণার্থী তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের দিকে রওয়ানা হয়েছে বলে জানায় ডিএইচএ নিউজ। শরণার্থীদের ওই দলে নারী ও শিশুরাও আছে। তারা তুরস্কের এরদিন প্রদেশ থেকে রওয়ানা হয়ে বুলগেরিয়া ও গ্রিস সীমান্তের দিকে যাচ্ছে। শরণার্থীদের দলে সিরীয়, ইরানি, ইরাকি, পাকিস্তানি এবং মরোক্কানরা আছেন।
২০১৫ সালে ইউরোপমুখী শরণার্থীর ঢল নামার পর তাদের আটকাতে তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই চুক্তির আওতায় তুরস্ক প্রায় ৩৬ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। তারপর থেকে ইউরোপের সঙ্গে যে কোনো দরকষাকষিতে এরদোগান নিয়মিতই ‘শরণার্থীদের ছেড়ে’ দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। সূত্র: এএফপি, এপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।