Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিল্লিতে টার্গেট মুসলিমরাই, মার্কিন কমিশনের রিপোর্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:৪৮ পিএম

দিল্লিতে বেছে বেছে সংখ্যালঘু মুসলমানদেরকেই নিশানা করে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর শেষের পরেই তাদের এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। শুক্রবারই জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাশলে বলেছেন, দিল্লিতে ‘মুসলিমদের উপরে আক্রমণ সত্ত্বেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা’-র খবরে তিনি চিন্তিত। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়েও ‘গভীর উদ্বেগ’ জানান তিনি।

দিল্লি অবশ্য মার্কিন কমিশনের সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, মার্কিন কমিশন ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কেন্দ্রকে দোষারোপ করে যা বলছে তা মিথ্যা। রাজনৈতিক স্বার্থে এই কাজ করছে তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার আজ বলেন, ‘সহিংসতা রোধ করে দিল্লিতে শান্তি ও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে শান্তি ও সৌভ্রাত্র ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন। এমন অবস্থায় দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না-করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

দিল্লির গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে বৃহস্পতিবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন কংগ্রেসের একাধিক সদস্য। এ বার মার্কিন কমিশনটির চেয়ারম্যান টনি পার্কিন্স বলেছেন, বেছে বেছে শুধু সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণ, তাদের বাড়িঘর, দোকান, ধর্মস্থান জ্বালিয়ে দেয়ার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তা উদ্বেগজনক। তার কথায়, ‘যে কোনও দায়িত্বশীল সরকারের কাজ, ধর্ম নির্বিশেষে নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’ কমিশনার অরুণিমা ভার্গবও বলেন, ‘দিল্লি জুড়ে বর্বর-লাগামহীন সহিংসতা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। আমরা খবর পেয়েছি, মুসলিমদের উপরে আক্রমণ রুখতে দিল্লি পুলিশ কিছুই করেনি। নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকারও।’

জেনিভায় মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্যাশলে আজ বলেন, ‘ভারতের সব গোষ্ঠীর মানুষেরা বিরাট সংখ্যায়, মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভাবেই এই আইনের বিরোধিতা করেছেন। আস্থা রেখেছেন তাদের দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার দীর্ঘ ঐতিহ্যে। মুসলিমরা আক্রান্ত, পুলিশ নিষ্ক্রিয়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের উপরে পুলিশি বাড়াবাড়ি হয়েছে। আমি উদ্বিগ্ন। নেতাদের আর্জি, সহিংসতা রোধ করুন।’ কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বাড়াবাড়ি মাত্রায় বলপ্রয়োগের অভিযোগ সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, প্রায় ৮০০ মানুষ এখনও আটক রয়েছেন।

একটি ব্রিটিশ দৈনিক দিল্লির ঘটনায় সরাসরি মোদির দিকেই আঙুল তুলেছে। তারা লিখেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী মুখে শান্তি ও সৌভ্রাত্রের কথা বলছেন। অথচ তিনিই দেশকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে পথ আটকে প্রতিবাদে নামা মুসলিমদের কপিল মিশ্রের মতো বিজেপি নেতার উস্কানির জেরেই আক্রমণ করে সশস্ত্র বাহিনী। অসহায় মুসলিমরাই ছিলেন তাদের নিশানা ও শিকার। আর পুলিশ ছিল দর্শক।’ দৈনিকটির বক্তব্য, বিজেপি নেতারা আক্রমণকারীদের উৎসাহ দেন এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের ‘খুনি ও ধর্ষক’ বলেন। সূত্র: এবিপি।

 



 

Show all comments
  • jack ali ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৪:৫৪ পিএম says : 0
    Alllah's upon Modi and his party...
    Total Reply(0) Reply
  • আলমগীর ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:২৮ এএম says : 0
    মোদি সরকারের মদদে এই মুসলিম গনহত্যা
    Total Reply(0) Reply
  • আলমগীর ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:২৮ এএম says : 0
    মোদি সরকারের মদদে এই মুসলিম গনহত্যা
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ