Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিল্লি পুলিশকে ৬ বার সতর্কবার্তা পাঠায় গোয়েন্দারা, বাড়াতে বলা হয় নিরাপত্তা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৩:১৬ পিএম

দিল্লির পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছিল ভারতীয় পুলিশ। তাদের ৬টি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল গোয়েন্দা বিভাগ। নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। পুলিশি ব্যর্থতায় এতগুলো মানুষকে নিহত হতে হলো।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস বলছে, গত রোববার ৬টি সতর্কবার্তা পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র উত্তরপূর্ব দিল্লির মৌজপুরে জমায়েতের ডাক দেয়ার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি। আর সেদিন সন্ধ্যায়-ই অর্থ্যাৎ রোববার সন্ধ্যায়ই গণ্ডগোল শুরু হয়, যা তার পরেরদিন সোমবার ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নেয়। গোয়েন্দাদের আগাম সতর্কবার্তা থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়া আটকাতে ব্যর্থ হয় দিল্লি পুলিশ।

সূত্রের দাবি, স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ ও গোয়েন্দা বিভাগ বারবার রেডিও মেসেজে উত্তরপূর্ব দিল্লি প্রশাসন ও পুলিশকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল। রোববার দুপুর ১টা ২২ মিনিটে টুইট করে সিএএ-এর সমর্থনে ওইদিন বিকেল ৩টায় দিল্লির মৌজপুর চক এলাকায় জমায়েতের ডাক দিয়েছিলেন বিতর্কিত বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। এই টুইটের ঠিক পরেই প্রথম সতর্কবার্তাটি পাঠিয়ে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার কথা বলা হয় দিল্লি পুলিশকে।

ঝামেলা হতে পারে আঁচ করতে পেরে স্থানীয় পুলিশকে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছিল গোয়েন্দা দফতর। এরপর পাথর ছোড়ার ঘটনা শুরু হলে ফের সতর্কবার্তা পাঠানো হয় বলে দাবি সূত্রের। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,‘বিতর্কিত বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র যাতে তাড়াতাড়ি ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন, তার জন্য এক শীর্ষ অফিসার তার সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু সিএএ বিরোধীরা তার সমর্থকদের লক্ষ্য করে ‘পাথর ছুড়তে’ থাকে। পাল্টা জবাব দেয় আক্রান্তরা। যদিও খুব কম সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’

তবে বাস্তবে যে তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তা বোঝা যায় সোমবার। রোববার জাফরাবাদে পুলিশকে আল্টিমেটাম দিয়ে কপিল বলেছিলেন, তিনদিনের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের অবরোধ সরিয়ে দিতে হবে। সেই মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই আগুনে ঘি পড়ে বলে অনেকের মত। হিংসা আর সংঘর্ষের ঘটনায় পরপর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে খোদ ভারতের রাজধানীতে। আহত হন ২৫০-রও বেশি মানুষ। সূত্র : এই সময়



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ