Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিল্লির হাসপাতালে লাশের অপেক্ষা : মৃতের সংখ্যা ৩৪

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:১০ পিএম

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) দেশজুড়ে যে অশান্তির জন্ম দিয়েছে, এতে দিল্লিতে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। আহত দুই শতাধিক। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই রয়েছেন।

চারদিকে শুধু আর্তনাদ আর রক্ত। আর্তনাদের কোনো ধর্ম নেই। রক্তের রঙে ভেদাভেদ নেই। হাসপাতালগুলোতে কান্নার রোল।

কলকাতার একটি গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এলো নির্মমতার এমনই এক চিত্র। সেখানে বলা হচ্ছে- জিটিবি হাসপাতালে মর্গের সামনে দীর্ঘ লাইন। কম করে ৫ থেকে ৬টি পরিবার দাঁড়িয়ে লাইনে। লাশ চিহ্নিত করবেন তারা। পরিবারগুলোর কান্নায় ধর্ম নেই। হিন্দু-মুসলমান মিলে মিশে দাঁড়িয়ে। নিজেরা নিজেদের স্বান্তনা দিচ্ছেন।

২৬ বছরের রাহুল সোলাঙ্কি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিথর দেহে পড়ে আছেন। পাশেই আরেকটি লাশ। পাশেই বসে রয়েছেন ৬৪ বছরের সদরুদ্দিন। ৩২ বছরের ছেলে মোহাম্মদ ফুরকানকে হারিয়েছেন তিনি। বুলেট তার শরীরের এক পাশ দিয়ে ঢুকে বেরিয়েছে আরকে পাশ দিয়ে। তিনিও ছেলের দেহ সনাক্ত করবেন।

সোমবার সন্ধ্যা থেকে পরিবারগুলো অপেক্ষা করে আছেন মর্গের সামনে। প্রিয়জনের দেহ নিয়ে যাবেন। জিটিবি হাসপাতালে ২৫ জনকে আগেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।এখন নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪। জিটিবি হাসপাতালের সুপার সুনীল কুমার গৌতমের কথায়, 'একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার আবেদন রয়েছে। পুলিশের থেকে সেই আবেদন আসছিল না। হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশই গুলিবিদ্ধ। বাকিরা হয় অগ্নিদগ্ধ, না হয় ছুরিতে আহত।'

সোমবার থেকে ওই পরিবারগুলো হাসপাতাল ছাড়েননি। লাশ নেয়ার অপেক্ষায় সময় যাচ্ছে তাদের। ২৬ বছরের শাহবাজ আলম চিত্কার করে কাঁদছেন। ওর প্রিয় বন্ধু আর নেই। তিনি বললেন, 'ওকে যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখন মৃত। লাশগুলো কখন পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে, দুদিন ধরে হাসপাতাল কিছু জানাচ্ছে না।'

শ্বেতা চৌহানও মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে। বললেন, বন্ধ হোক এ অবস্থা। সরকার চাইছে না নিয়ন্ত্রণ করতে।'

মোহাম্মদ ফুরকানের বাবা বৃদ্ধ সদরুদ্দিনের কথায়, 'এই শহরে ৪০ বছর ধরে বাস করছি। শিখ দাঙ্গা চোখের সামনে দেখেছি। মনে আছে, বহু শিখকে বাঁচিয়েছিল হিন্দু, মুসলমান। গত দু'দিনেও মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখেছি। দুর্ভাগ্য।'



 

Show all comments
  • jack ali ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:১৭ পিএম says : 0
    [This is] a Book which We have revealed to you [O Muhammad], that you might bring mankind out of the darknesses into the light by permission of their Lord – to the path of the Exalted in Might, the Praiseworthy.[2] What India is doing by the help of Modi the Iblees is absolutely intolerable... where are the muslim ummah... what they are doing.... they are enjoying and sleeping,, Nay Allah will catch you very soon... If you don't wake up and wipe out injustice from the world.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ