প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রতিবেদনে সালমানের মৃত্যুর পেছনে শাবনূরের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গতার বিষয়টি উঠে এসেছে। কিন্তু পিবিআইয়ের এমন তদন্তকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন শাবনূর।
এদিকে সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা এত বছর পর আবারও দাবি করেছেন যে, সালমান-শাবনূরের প্রেম ছিল। শাবনূরের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি সালমান নিজেই নাকি স্বীকার করেছিলেন।
মঙ্গলবার ঢাকার এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সামিরা বলেন, শাবনূরের সঙ্গে যে প্রেম ছিল সালমান নিজেই সেটি আমার কাছে স্বীকার করেছিলেন। কাজ করতে করতে একে অপরের কাছাকাছি এসেছিলেন সালমান-শাবনূর। এটা আমি মেনে নিতে পারিনি। সালমানের সঙ্গে শাবনূর সিঙ্গাপুরেও যান। এই কথাগুলো আমি পিবিআইকে বলেছি।’
পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে সামিরা বলেন, এই প্রতিবেদন খুব একটা আনন্দেরও না, আবার বেদনারও।
সোমবার পিবিআই সালমান শাহ’র মৃত্যুর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, হত্যা নয়, আত্মহত্যা করেছেন সালমান।
পিবিআই’র প্রতিবেদনে নতুন করে সালমান শাহর সঙ্গে শাবনূরের ঘনিষ্ঠতার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামিরা বলেন, সালমান শাহ ও শাবনূর যে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন, সে কথা সালমান নিজেই আমার কাছে স্বীকার করেন।
শাবনূর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সালমানের সঙ্গে প্রেম করে শাবনূর যে ভুল করেছে তার জন্য তাকে অনুতপ্ত হতে হবে। সেটা ইহকালে হোক বা পরকালে। তাদের সম্পর্কের কারণে সালমান আমাকে সরি বলেছিল, আমি সব ভুলে তার সঙ্গে ঢাকায় এসেছিলাম। শাবনূরকেও ক্ষমা করে দিয়েছি। কোথাও একটি কথাও আমি বলিনি সালমান-শাবনূরের সম্পর্ক নিয়ে। আমি চাইনি এসব নিয়ে আলোচনা হোক।
সামিরা এখন তিন সন্তানের মা। ১৯৯৯ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতে তিনি বিয়ে করেন সালমান শাহর বন্ধু মোস্তাক ওয়ায়েজকে। বেশিরভাগ সময় থাকেন বিদেশে।
প্রায় ৬০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন তুলে ধরে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, পিবিআই কর্তৃক তদন্তকালে ঘটনার সময় উপস্থিত ও ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৪৪ সাক্ষীর জবানবান্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনা সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করা হয়। এসব বিষয় পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহ পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন। হত্যার অভিযোগের কোনো প্রমাণ মেলেনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি দিয়ে দেশীয় চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে সালমান শাহর। স্মার্টনেস-গ্লামার ও পারসোনালিটির কারণে রাতারাতি তরুণ প্রজন্মের আইকনে পরিণত হয়ে ওঠেন এ নায়ক। মাত্র সাড়ে তিন বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ছবি করেন। যার অধিকাংশই সুপারহিট। মৌসুমীর সঙ্গে জুটি বেঁধে চলচ্চিত্র অঙ্গনে পা রাখলেও সালমানের বেশিরভাগ ছবির নায়িকা শাবনূর। এই জুটি তখন এমন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে, যে কোনো ছবি মুক্তি পেলেই দর্শক প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খেয়ে পড়তেন। একপর্যায়ে শাবনূরের সঙ্গে বিবাহিত সালমানের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। এর পর কলহ দেখা দেয় সালমানের পরিবারে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমানের মৃত্যু হয়। সেই থেকে তার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। হত্যা নাকি আত্মহত্যা? অবশেষে পিবিআই জানাল, আত্মহত্যা করেছিলেন সালমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।