মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রায় সাত মাস পর স্কুলে ফিরেছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী গত সাত মাসের মধ্যে প্রথমবার স্কুলে ফেরার সুযোগ পেল। দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ কাশ্মীরের সব স্কুল বন্ধ রেখেছিল প্রশাসন।
গত বছরের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয় ভারত। তখন থেকেই কাশ্মীরে মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। দীর্ঘদিন যান চলাচলও বন্ধ ছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কারণে সেখানকার জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। অবরুদ্ধ সময় কাটিয়ে সোমবার প্রথমবার শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফেরায় দীর্ঘদিনের বন্দীদশার সমাপ্তি ঘটল। এর মধ্যে শীতকালীন ছুটি থাকার কারণেও স্কুলগুলো বন্ধ ছিল।
গত সপ্তাহে কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় জানিয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আবহাওয়ার অবস্থাও আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। এরপরেই পুণরায় স্কুলগুলো চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
১৯ বছর বয়সী মুসকান ইয়াকুব নামে স্থানীয় এক শিক্ষার্থী বলেন, স্কুলে আসতে পেরে আমি খুব খুশি। দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রথম ক্লাস শুরু করেছে সে। ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমি স্কুলে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। গত ৩ আগস্ট শেষবারের মতো স্কুলে ক্লাস করেছিল সে।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, বাসায় বসে কোনো কাজই ছিল না। এমনকি পড়াশুনায় মনোযোগ দেয়াটাও কঠিন হয়ে পড়েছিল। এর আগেও কর্তৃপক্ষ স্কুল পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার শঙ্কায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে ফিরতে দেয়নি।
শাফাত আহমেদ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কিছুটা নিরাপদ অনুভব করায় আজ আমি আমার সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি এখন ফোন করে আমার সন্তানের খোঁজ-খবর নিতে পারব। তার ১১ বছর বয়সী ছেলে এবং ছয় বছর বয়সী মেয়ে শ্রীনগর শহরের একটি স্কুলে পড়াশুনা করেন। আহমেদ বলেন, গত কয়েক মাস ধরে তিনি তার সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর বিরোধী ছিলেন। এজন্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।