মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সহিংসা ঠেকাতে এ বার দিল্লিতে নামানো হতে পারে সেনা। রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল এবং দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়ককে নিয়ে বৈঠতে বসেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই এমন বার্তা দেন তিনি। বৈঠক শেষে যা সংবাদমাধ্যমকে জানান কেজরীওয়াল।
বৈঠকের পরে সংবাদমাধ্যমে কেজরীওয়াল বলেন, ‘সকলেই চান সহিংসা বন্ধ হোক। সে জন্যই আজ বৈঠক ডেকেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক ভালই হয়েছে। শহরে শান্তি ফেরাতে সব রাজনৈতিক দল একজোট হয়ে কাজ করবে। প্রয়োজনে সেনাও নামানো হতে পারে।’ শাহের ডাকা এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি, রামবীর সিংহ বিধুরী এবং কংগ্রেসের সুভাষ চোপড়াও।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী এবং সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘিরে গত তিন দিন ধরে অশান্ত জাফরাবাদ-সহ উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গা। সোমবার পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করেছে তারা। এমনকি গুলিও চলেছে। তাতে সাত জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের সময় এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। গতকাল রাতেই এ নিয়ে দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। যে যে এলাকায় হিংসা দেখা দিয়েছে, সেখানকার বিধায়কদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করেন কেজরীওয়ালও। তবে গোটা ঘটনার জন্য দিল্লি পুলিশের ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেন কেজরীওয়াল।
মঙ্গলবার সকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেজরীওয়াল জানান, সিনিয়রদের থেকে দিক-নির্দেশনা না পওিয়ায় সময় মতো পদক্ষেপ নিতে পারেননি পুলিশকর্মীরা। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হবে নাকি লাঠি চার্জ করা হবে, সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেননি তারা। বিষয়টি তিনি অমিত শাহকে জানিয়েছেন বলেও জানান কেজরীওয়াল।
বহিরাগতরা দিল্লিতে ঢুকে পড়ায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলেও দাবি করেন কেজরীওয়াল। তিনি বলেন, ‘অন্য দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে জানতে পেরেছি, বাইরে থেকেও অনেকে দিল্লিতে এসে ঢুকেছেন। তাতেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে দিল্লির সীমান্ত কিছু দিন বন্ধ রাখতে হবে।’ সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।