মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সোমবার প্রথম বারের মতো ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তা নিয়ে উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে আহমেদাবাদে। সফরে দুই দেশের মধ্যে কোন বাণিজ্যিক চুক্তি না হলেও অধিকৃত কাশ্মীরের পরিস্থিতি এবং বিতর্কিত দুই আইন ‘সিএএ’ ও ‘এনআরসি’ নিয়ে কথা বলবেন ট্রাম্প। পাশপাশি তিনি শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আলোচনা করতে ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানাবেন। মার্কিন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার বিকালে ট্রাম্পের ভারত সফর নিয়ে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ট্রাম্পের সফরের রুপরেখা ও ভারতীয় নেতাদের সাথে আলোচনার পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রশাসনের ওই সিনিয়র কর্মকর্তা। তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস করার বিষয়ে জোর দেবেন। তিনি দুই দেশকেই দ্বন্ধ নিরসনে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসার জন্য উৎসাহিত করবেন।
ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে আবারও মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেবেন কিনা এম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাশ্মীর ইস্যুতে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং অঞ্চলটিতে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া বা বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য উভয় দেশের প্রতি আহ্বান জানাবেন।’
ওই কর্মকর্তা জানান, সিএএ ও এনআরসি নিয়ে ভারতে কোনো ধরনের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে কি না, আসন্ন দিল্লি সফরে সেসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে জানতে চাইবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি উঠবে গণতন্ত্র রক্ষার প্রসঙ্গও। ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের গভীর শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে বলে দাবি করে তিনি জানান, ‘ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে যে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিবেশ রয়েছে, এবার সেগুলো নিয়ে মোদির সঙ্গে আলোচনা করবেন ট্রাম্প। তাছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টিও এখানে অগ্রাধিকার পাবে।’ তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানেই রয়েছে। তাছাড়া সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সম্মান প্রদর্শনের অঙ্গীকার করা হয়েছে। বিশ্বের প্রধান চারটি ধর্মের পীঠস্থান ভারত। তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছেও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত উভয় পক্ষই আশা করছেন যে এই সফর দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে রোববার বিকালে টুইট করেন মোদি। তিনি লেখেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে রয়েছে ভারত। আমরা সম্মানিত বোধ করছি যে আগামিকাল তিনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন, আহমেদাবাদে ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।’ সূত্র: ডন, রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।