মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানে তালেবান, যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। শুক্রবার থেকে এক সপ্তাহের এই চুক্তি কার্যকর শুরু হয়। এর ফলে দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধের ইতি টানতে শান্তি চুক্তির প্রত্যাশা জোরদার হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, তালেবান ও মার্কিন প্রতিনিধিদের আলোচনার ভিত্তিতে এই চুক্তি চ‚ড়ান্ত হয়। যদি এই সাময়িক চুক্তি বাস্তবায়িত হয় তাহলে তা শান্তি চুক্তিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করা হতে পারে।
এদিকে শুক্রবার পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান তালেবানদের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণাকে পাকিস্তান স্বাগত জানিয়েছে। পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, ইসলামাবাদ ‘চুক্তির প্রত্যাশায় যা আফগান কর্মকর্তারা বলেছেন যে, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত হতে পারে। আংশিক যুদ্ধবিরতি যদি এগিয়ে যায়, তবে এটি আফগানিস্তানের ১৮ বছরেরও বেশি মারাত্মক সংঘাতের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসাবে চিহ্নিত হবে এবং একটি চুক্তির পথ তৈরি করবে যা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের পরিণতি দেখতে পাবে।
পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পাকিস্তান ধারাবাহিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানদের মধ্যে সরাসরি আলোচনাকে সমর্থন জানিয়েছে। শুরু থেকেই পাকিস্তান এই প্রক্রিয়াটি সহজ করে দিয়েছে এবং এ পর্যন্ত তার অগ্রগতিতে অবদান রেখেছে।
‘আমরা বিশ্বাস করি যে, মার্কিন-তালেবান চুক্তি স্বাক্ষরিত হ’ল আন্ত-আফগান আলোচনার পরবর্তী পদক্ষেপের পথ প্রশস্ত করবে’। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, পাকিস্তান আশা করেছে যে, আফগান দলগুলি এখন ‘এই ঐপতিহাসিক সুযোগটি’ গ্রহণ করবে এবং একটি বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্ত রাজনৈতিক কাজ করবে আফগানিস্তান এবং অঞ্চলে টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য।
‘পাকিস্তান একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ, গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ আফগানিস্তানের জন্য, নিজের সাথে এবং প্রতিবেশীদের সাথে শান্তিতে তার সমর্থনকে পুনরায় নিশ্চিত করে’। বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান আফগানিস্তানে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা আরও জোরদার করতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়েরও ভূমিকা রাখার প্রত্যাশায় রয়েছে।
বিবৃতিতে যোগ করা হয়, ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে ‘আফগান শরণার্থীদের পাকিস্তান থেকে স্বদেশে মর্যাদা ও সম্মানের সাথে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম করতে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি তৈরি করতে সহায়তা করতে চায়’।
এদিকে, গোটা ঘটনার উপর নজর রেখেছে ভারত। ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আসন্ন মার্কিন-তালিবান শান্তি চুক্তির সব তথ্য জানতে চাইবে সাউথ বøক। তবে, এই আলোচনায় ভারতের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হবে, ওই চুক্তিতে পাকিস্তানের ভ‚মিকা কী এবং কতটা? নয়াদিল্লির আশঙ্কা, এই শান্তি চুক্তির সুযোগ নিয়ে আফগানিস্তানে কৌশলগত আধিপত্য ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চালাবে ইসলামাবাদ।
হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও তালিবানের সঙ্গে আইএসআইয়ের মধুর সম্পর্কের ফলে সেখানে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসের সম্ভাবনাও বাড়বে। এখন ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে যে, মার্কিন বাহিনী সরে যাওয়ার পরে ইসলামাবাদ যেন নয়াদিল্লিকে নতুন কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে না পারে। সূত্র : এএফপি, ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।