নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জিম্বাবুয়ের রানরেট তিনের নিচে আটকে রাখাটাই সারাদিনের সবচেয়ে বড় সাফল্য। সাফল্যের আরেকটা অংশ আছে জিম্বাবুয়ের ৬ উইকেট তুলে নেওয়া। যার ৪টিই শিকার করেছেন স্পিনার নাঈম হাসান। ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশ দলের ‘নায়ক’ তিনিই। আর জিম্বাবুয়ের হয়ে সেই আসন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের।
নাঈমের পারফরম্যান্স ৩৬ ওভারে ৬৮ রানে ৪ উইকেট। অন্য দিকে আরভিনের রান ১০৭। নিয়মিত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস পারিবারিক কারণে এই টেস্টে না খেলায় ক্রেইগ আরভিন অধিনায়কের দায়িত্ব পান। আর সেই দায়িত্ব পুরো করলেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি দিয়ে। ডেভিড হটনের পর অধিনায়কত্বের অভিষেকেই সেঞ্চুরি পাওয়া জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় কীর্তিমান ক্রেইগ আরভিন।
গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে। স্কোরবোর্ডের পারফরম্যান্স জানাচ্ছে প্রথম দিনের সম্মান উভয় দলের মধ্যে ভাগাভাগি হয়েছে। তবে ৪ উইকেট অক্ষত রাখা জিম্বাবুয়ে সম্মানের ভাগটা একটু বেশি দাবি করতে পারে! জবাবে বাংলাদেশও বলতেও পারে- ‘তোমাদের তো সারা সময় রান রেটে তিনের নিচেই রাখলাম!’
সকালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার আগে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক জানিয়েছিলেন-‘শুরুতে তারা নিরাপদ ব্যাটিংয়ের দিকেই ছুটবেন।’ শুধু শুরু নয়, পুরোটা দিনই জিম্বাবুয়ে দেখে শুনে ব্যাটিং করল। বাড়তি অ্যাডভেঞ্চার দেখাতে গিয়ে উইকেট খুঁইয়ে এলেন শুধু ব্রেন্ডন টেইলর। তবে দিনের প্রথম আধঘণ্টায় ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামা আরভিন শেষ সেশন পর্যন্ত ব্যাট করলেন। ফিরলেন ১০৭ রানের সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে।
দলীয় ৭ রানে ওপেনার কেভিন কাসুজাকে হারানোর পর ক্রেইগ আরভিন ও প্রিন্স মাসভাউরে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১১১ রান যোগ করেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট হাফসেঞ্চুরি পান প্রিন্স মাসভাউরে। ৯ বাউন্ডারিতে ১৫২ বলে ৬৪ রান তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস। দিনের দ্বিতীয় সেশনে প্রিন্স মাসভাউরে ও ব্রেন্ডন টেলরের প্রাইজ উইকেট তুলে নেন স্পিনার নাঈম হাসান। মাসভাউরে কট এন্ড বোল্ড হন। আর ব্রেন্ডন টেলর রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল গ্লাভসে লাগিয়ে বসেন। সেই বল সে্লা মোশনের ভঙ্গিতে গড়িয়ে গড়িয়ে তার স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেয়!
১৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে সামনে বাড়াতে আরভিনের সঙ্গে এসে যোগ দেন আরেক অভিজ্ঞ সিকান্দার রাজা। সিকান্দার রাজা উইকেটে সেট হয়ে দিনের শেষ সেশনে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন। বোলার সেই একজনই-নাঈম হাসান।
ম্যাচের প্রথম উইকেট শিকারি ছিলেন আবু জায়েদ রাহী। দিনের শেষ উইকেট শিকারেও তার নাম। মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান টিমেসেন মারুমাকে ৭ রানে এলবিডবি্লউ করেন রাহী। দিনের শেষ ১০ ওভার নিরাপদে পার করে দিলেন আরভিন ও রেগিস চাকাভা। সেই অবসরে সেঞ্চুরিও তুলে নিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। ২১৩ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে সেঞ্চুরি পুরো করেন আরভিন। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি।
ঢাকা টেস্ট শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক কথা দিয়েছিলেন-‘বড় ইনিংস খেলবেন তার দলের ব্যাটসম্যানরা।’ বড় ইনিংস খেলার সেই সুযোগটা বাংলাদেশের আগে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক কাজে লাগালেন! সারাদিনে জিম্বাবুয়ের ৬ উইকেট তুলে নিতে পারলেও ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের দিনটা কেটেছে আহা, উহু’র আফসোস নিয়ে। হাফ চান্সের মতো ফুল চান্সেরও ক্যাচ ফস্কেছে। ৫৯ রানে সি্লপে ক্যাচ পড়া ক্রেইগ আরভিন হাসলেন ১০৭ রানের আনন্দ নিয়ে।
স্কোর কার্ড
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে, একমাত্র টেস্ট ১ম দিন
টস : জিম্বাবুয়ে (ব্যাটিং), মিরপুর
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস রান বল ৪ ৬
মাসভাউরি ক এন্ড ব নাঈম ৬৪ ১৫২ ৯ ০
কাসুজা ক নাঈম ব রাহী ২ ২৪ ০ ০
অরভিন বোল্ড নাঈম ১০৭ ২২৭ ১৩ ০
টেলর বোল্ড নাঈম ১০ ১১ ১ ০
সিকান্দার ক লিটন ব নাঈম ১৮ ৬২ ৩ ০
মারুমা এলবি ব রাহী ৭ ৩৫ ১ ০
চাকাভা ব্যাটিং ৯ ২৫ ১ ০
তিরিপানো ব্যাটিং ০ ৪ ০ ০
অতিরিক্ত (বা ৪, লেবা ৪, ও ৩) ১১
মোট (৬ উইকেট, ৯০ ওভারে) ২২৮
উইকেট পতন : ১-৭ (কাসুজা), ২-১১৮ (মাসভাউরি), ৩-১৩৪ (টেলর), ৪-১৭৪ (সিকান্দার), ৫-১৯৯ (মারুমা), ৬-২২৬ (অরভিন)।
বোলিং : এবাদত ১৭-৪-২৬-০, রাহী ১৬-৪-৫১-২, নাঈম ৩৬-৮-৬৮-৪, তাইজুল ২১-১-৭৫-০। *প্রথম দিন শেষে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।