মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসবিরোধী লড়াইয়ে মিত্রদের জন্য পাঠানো যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭১.৫৮ কোটি ডলারের অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জামের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। বড় ওই অস্ত্রের চালান পাঠানো হলেও সঠিকভাবে জায়গামতো পৌঁছায়নি বলে খবর বেরিয়েছে।
মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’র ইনসপেক্টর জেনারেলের নতুন এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। মিডিল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে পাঠানো ওই চালানে প্রায় ৭১.৫৮ কোটি ডলারের অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম রয়েছে।
তবে এতগুলো অস্ত্র অন্য বিদ্রোহী বা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হাতে পড়েছে কিনা তা স্পষ্ট করা হয়নি। এর আগে ইরাক ও কুয়েতে পাঠানো ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়ে ফেলে পেন্টাগন।
অ্যামনেস্টি জানায়, যেসব তথ্য আছে সেগুলোও পূর্ণাঙ্গ নয়। ফটোকপি করা তালিকা, হাতে লেখা রসিদ এবং কেন্দ্রীয় ডাটাবেজে তথ্য সংরক্ষণ না করায় মানবিক ভুলের ঝুঁকি তৈরি হয়। সে সময় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও মানবাধিকার বিষয়ক গবেষক প্যাট্রিক উইলকেন বলেন, এই অডিট প্রতিবেদনে অঞ্চলটিতে মার্কিন সেনাবাহিনীর মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র নজরদারি ও ব্যবস্থাপনায় বিপজ্জনক দুর্বলতা বেরিয়ে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কুর্দি বিদ্রোহীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও অস্ত্র দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু মিত্র গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের জন্য কোটি কোটি ডলারের এসব অস্ত্র প্রায়ই হারিয়ে ফেলে মার্কিন বাহিনী। কখনও কখনও সেগুলো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর হাতে পড়ে।
পেন্টাগন প্রকাশিত সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট মতে, সিরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনীর মিশন কমবাইন্ড জয়েন্ট টাস্ক ফোর্সের কর্মকর্তারা ২০১৭ ও ২০১৮ আর্থিক বছরে আইএসবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের জন্য অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যাপারে বোধগম্য কোনো তালিকা দেখাতে পারেননি। ওই সব অস্ত্র সঠিক গুদামজাতও করা হয়নি।
এর আগে ২০১৬ সালের মার্কিন সরকারের একটি অডিট রিপোর্টের বরাত দিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, কুয়েত ও ইরাকে মোতায়েন করা বিপুল পরিমাণ সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জামের অবস্তান সম্পর্কিত তথ্য হালনাগাদ নেই। বর্তমানে এসব অস্ত্রের পরিমাণ সম্পর্কেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য নেই।
গত প্রায় ৯ বছর ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাতে বিদ্রোহীদের মধ্যে মডারেট গ্রুপগুলোকে সমর্থন করছে যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে ৬০ দেশের একটি জোট গঠন করে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস এবং অন্য চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে বিদ্রোহী এবং আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে মডারেট বিদ্রোহী সিরিয়ার ডেমোক্রেটিক ফোর্সের যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রের জোগান দিচ্ছে। তবে রাশিয়া ও সিরিয়ার অভিযোগ, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই নয় অস্ত্র সরবরাহ করে তাদেরকে বাশারবিরোধী যুদ্ধে ব্যবহার করছে ওয়াশিংটন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।