Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৩৪ এএম

আফগানিস্তানের তালেবানের সঙ্গে ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। গতকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি এই ঘোষণা দেন।

সউদী আরব ভ্রমণ শেষে এক বিবৃতিতে পম্পেও জানান, আফগানিস্তানজুড়ে সহিংসতা কমানোর প্রক্রিয়া সফলভাবে বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান চুক্তি সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার ব্যাপারে আশা করা যাচ্ছে।

তিনি উল্লেখ করেন, সবকিছু ঠিকভাবে চললে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করবে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরে আফগানিস্তানের সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করবে তালেবানরা।

শুক্রবার মধ্য রাত থেকেই আংশিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। আমেরিকা এবং তালেবান প্রতিনিধিদের এক বছরেরও বেশি সময়ের আলোচনার পরই এ যুদ্ধবিরতি হচ্ছে। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরার।

তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমেরিকা ও তালেবান আগামী ২৯ ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে একটি চুক্তিতে সই করতে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আগামী এক সপ্তাহ দু’পক্ষ চুক্তি সই করার জন্য আফগানিস্তানে উপযুক্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি তৈরি করবে।
প্রসঙ্গত, তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করার আগে যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের প্রতি আফগানিস্তানে সহিংসতা কমানোর শর্ত দিয়েছিল। শুক্রবার একজন কর্মকর্তা জানান, তালেবান এবং যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সপ্তাহব্যাপী সহিংসতা কমানোর প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে। এটি সফল হলেই তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
এদিকে আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মুখপাত্র জাভিদ ফয়সাল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, আন্তর্জাতিক-আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তালেবানদের মধ্যে সহিংসতা কমানোর প্রক্রিয়াটি এক সপ্তাহ ধরে চলবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলবে এবং যুদ্ধবিরতি ও আন্তঃআফগান আলোচনার পথ উন্মুক্ত করবে।’ তালেবানদের তিনজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন, শুক্রবার রাত থেকে সহিংসতা কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই আংশিক যুদ্ধবিরতি যদি সফল হয় তাহলে ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচিত হবে।

এদিকে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি শুক্রবার রাতে কাবুলে বলেছেন, তার দেশের সেনাবাহিনী, আফগানিস্তানে মোতায়েন বিদেশি সেনা এবং তালেবান যৌথভাবে আগামী এক সপ্তাহ সারাদেশে সহিংসতা বন্ধ রাখতে সম্মত হয়েছে।

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি তালেবানের সহিংসতা কমানোর সক্ষমতা, সদিচ্ছা এবং শুভ বিশ্বাসে শান্তিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।

আংশিক ৭ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী- তালেবান, আফগান এবং আন্তর্জাতিক বাহিনী কোনো বড় ধরনের অভিযান চলতে পারবে না।
উল্লেখ্য, তালেবানদের সঙ্গে একটি চুক্তি করার জন্য এক বছরের বেশি সময় ধরে আলোচনা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনাদের সেখান থেকে প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।



 

Show all comments
  • jack ali ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৫২ এএম says : 0
    At least one country ruled by the law of Allah
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ