পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার বিচার ও সীমান্ত সমস্যা সমাধানের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার দিনে মাথায় কালো কাপড় বেঁধে শোকমিছিল ও সমাবশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে লাগাতার ২৮ দিন অবস্থান পালন করা ঢাবি মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাসির আব্দুল্লাহ্র প্রতিবাদে সংহতি জানিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বেলা ৩টায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা শোকমিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে। মিছিলটি শহীদ মিনার ঘুরে রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এসময় মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, দেশপ্রেমিক জনতা জেগে উঠ, সীমান্ত হত্যা রুখে দাও সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী লেখা সম্বলিত ব্যানার প্লেকার্ড দেখা যায়।
এর আগে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মিছিল পূর্ববর্তী এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে চলা বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের তীব্র সমালোচনা করেন এবং এ ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতায় তারা হতাশা ব্যক্ত করেন। তারা স্মরণ করেন ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবন দেওয়া বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। এ সময় সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবে অনশনে বসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদিব আরিফ সরকার কখনো এর প্রতিবাদ করবে না উল্লেখ করা জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, একুশের যে প্রতিবাদী চেতনা, মুক্তিযুদ্বের যে চেতনা তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়াতে হবে।”
আয়োজকরা বলছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের পাশাপাশি সীমান্তে বিএসএফ এর হাতে প্রাণ দেয়া বাংলাদেশীদেরও স্বরণ করতে চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দেশের সর্বস্তরের জনগন। এরআগে গণমাধ্যমে পাঠানো শিক্ষার্থীদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী আমাদের বেসামরিক নাগরিকদের ধারাবাহিকভাবে হত্যা করে আসছে। এই হত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রাষ্ট্র কখনো শক্ত অবস্থান নেয়নি যা আমাদের জন্য অপমানজনক ও লজ্জার। সেই ক্ষোভের জায়গা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাসীর আব্দুল্লাহ সীমান্তে ঘটে যাওয়া সকল হত্যার বিচারের দাবিতে খোলা আকাশের নিচে ধূলাবালির ভিতরে রাজু ভাস্কর্যে সাতাশ দিন যাবত অবস্থান করছেন। তাঁকে ঘিরে আমরা নাগরিকরাও পাশে দাড়িয়েছি।
তারা বলেন, প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আমরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আমাদের ভাষা শহীদদের স্মরণ করি। কিন্তু এবারের একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে এক ভিন্ন অর্থ বহন করে। এই ফেব্রুয়ারিতে রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদরত অবস্থায় আমরা যেমন ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, একইসাথে সীমান্তে নির্যাতিত ও শহীদ হওয়া সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। তাই এবারের একুশের চেতনা আমাদের কাছে ভাষা, সীমান্ত, স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও নাগরিকের মর্যাদা রক্ষার করার দীপ্ত শপথ।
এতে আরও বলা হয়, সেই দীপ্ত শপথে বলীয়ান হয়ে ঢাবি রাজু ভাস্কর্য থেকে মাটি, মানুষ, ভাষা ও সীমান্ত রক্ষার দাবিতে এবং ভাষা শহীদ ও সীমান্তে নিহত হওয়া সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের স্মরণ করতে এই শোক মিছিল। শহদীদের স্মরণের পাশাপাশি নিহত নাগরিকদের বিচার পাবার অধিকার, তাঁদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ পাবার অধিকারের কথা দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে জানাতে চাই। মিছিলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, শ্রমিক, রিকশাওয়ালাসহ সকল শ্রেণিপেশার জনগণকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাই।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।