মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
টানা দুটি লোকসভা নির্বাচনে বাজে হারে টালমাটাল অবস্থা ভারতের প্রাচীন দল কংগ্রেসের। বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করা তো দূরের কথা, প্রধান বিরোধী দলেরও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা। সংগঠন নামের শব্দটিই কংগ্রেসের মধ্যে এখন একপ্রকার অবলুপ্ত। অথচ, এতকিছুর পরও কোনও পদক্ষেপ নেয় নি শীর্ষ নেতৃত্ব। এ কারণে, দলের ভেতরে শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে।
কংগ্রেস এখন স্পষ্টতই দুটি শিবিরে বিভক্ত। যারা দিল্লিতে বসে কংগ্রেসের নীতি নির্ধারণ করেন, তাদের কাজে চরম হতাশ নিচুস্তরের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু, এতদিন কিছুই প্রকাশ্যে আসছিল না। দিল্লি নির্বাচনে ভরাডুবির পর সেই ক্ষোভের আঁচ এবার টের পেতে শুরু করল কংগ্রেস। দলের ভেতরেই শুরু হয়েছে বিদ্রোহ। প্রকাশ্যে গান্ধীদের নাম না নিলেও তাদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করলেন শীর্ষ নেতারাই।
কংগ্রেসের অন্দরে বিদ্রোহের সুর প্রথম শুনিয়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। এবার দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতও দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা ঘোষণা করলেন। সাবেক এই সাংসদের প্রশ্ন, রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের পর কেন সোনিয়া গান্ধীকে অন্তর্র্বতী সভাপতি করা হল? কেন সময়মতো কংগ্রেসের নির্বাচন করানো হচ্ছে না? সন্দীপ বলছেন, কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতারা দলের সভাপতি নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছেন। বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা কেউ বাঁধতে রাজি নন। তার মতে, কংগ্রেসে অন্তত ৬-৮ জন এমন নেতা আছেন, যিনি গোটা দেশে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। প্রকারান্তরে সন্দীপ দীক্ষিত বুঝিয়ে দেন, সময় এসেছে গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে নেতা নির্বাচন করার। উদাহরণ হিসেবে তিনি অমরিন্দর সিং, এ কে অ্যান্টোনি, অশোক গহলত, পি চিদম্বরম, সালমান খুরশিদদের কথাও উল্লেখ করেন।
সন্দীপের এই মন্তব্যের সমর্থন করেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ শশী থারুরও। তিনিও দ্রুত দলের সাংগঠনিক নির্বাচন করে সভাপতি বাছাইয়ের দাবি তুলেছেন। একটি টুইটে সন্দীপের দাবিকে সমর্থন করে থারুর বলেন, সন্দীপ দীক্ষিত যেটা বলছেন, সেটাই অসংখ্য কংগ্রেস কর্মীর মনের কথা। কংগ্রেসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদ আছে। আমার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির কাছে অনুরোধ, আপনারা দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের আরেক নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজের দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। এরই মধ্যে আরও দুই নেতার এই বিদ্রোহ রীতিমতো চাপে ফেলছে শতাব্দী প্রাচীন দলটিকে। সূত্র: দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।