Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

প্রাইভেট কারে যাত্রী তুলে ছিনতাই-হত্যা

গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার : | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রাইভেট কারে যাত্রী উঠিয়ে ছিনতাই ও হত্যাকান্ডের পৃথক তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চক্রটির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা ও ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে তারা। গতকাল দুপুরে সাভার মডেল থানায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার।

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার সরদারকান্দি গ্রামের মুকিত খানের ছেলে মো. শাহিন ওরফে সুহিন খান (৩৪) এবং মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার পূর্ব মাইজপাড়া গ্রামের ইস্কান্দার আলীর ছেলে মো. মুর্তুজা (৩৪)।
পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল লিটন মাহাতোকে নবীনগর থেকে কৌশলে প্রাইভেট কারে উঠায় ছিনতাইকারীরা। পরে পথিমধ্যে আরো ২-৩ জন ছিনতাইকারী যাত্রীবেশে একই প্রাইভেট কারে ওঠে। এরপর ওই পুলিশ সদস্যের হাত-পা বেঁধে তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে পরিবারের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে।
পরবর্তীতে গোয়েন্দা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর-২ পোস্ট অফিসের সামনে থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারসহ চালক মুর্তুজাকে গ্রেফতার করে। একইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের অন্য একটি দল চাঁদপুরের সরদারকান্দি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে শাহীন ওরফে সুহিন খানকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, গত বছরের ১৮ অক্টোবর মানিকগঞ্জের বাসিন্দা নিরাপত্তা কর্মী আলাউদ্দিনকে (৪৫) যাত্রী হিসেবে প্রাইভেট কারে উঠিয়ে জিম্মি করে। পরে টাকা-পয়সা না পেয়ে আলাউদ্দিনকে মারধর ও হত্যা করে ধামরাইয়ের জয়পুরা এলাকার পাল সিএনজি পাম্পের পার্শ্ববর্তী ইঞ্জিনিয়ার আবু তাহেরের বাড়ির কাছে লাশ ফেলে দেয়।
এছাড়া গত ২ ফেব্রুয়ারি একইভাবে আবু নাঈম (৫৪) ও তার চাচাতো ভাই বেলায়েত হোসেনকে প্রাইভেট কারে উঠিয়ে তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে ছিনতাইকারীরা। পরে তাদের এটিএম কার্ডের পিন নম্বর নিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও বেলায়েতের মোবাইলের বিকাশ এ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার টাকাসহ দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় চক্রটির সদস্যরা।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি কৌশলে প্রাইভেট কারে যাত্রী উঠিয়ে ছিনতাই, মুক্তিপণ আদায়সহ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। বিষয়টি জানার পর চক্রটিকে ধরতে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চক্রটির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত আরও দুই সদস্যকে সনাক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ