মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ বলে আগেও সম্বোধন করেছেন তিনি। এ বার সরাসরি জানিয়ে দিলেন, বাণিজ্য ক্ষেত্রে ভারত তাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেন না। আগামী সপ্তাহেই ভারত সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাকে স্বাগত জানাতে সেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি চলছে। তার আগেই তার এমন মন্তব্যে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলেছে মোদি সরকারকে।
আগামী ২৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে দু’দিনের ভারত সফরে আসছেন। তার উপস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি হওয়ার কথা। কিন্তু নানা বিষয়ে মতানৈক্য ধরা পডেছে দু’দেশের মধ্যে। যেমন, দিল্লি চায় ভারতীয় ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করুক ওয়াশিংটন। বিনা শুল্কে মার্কিন বাজারে নির্দিষ্ট কিছু ভারতীয় পণ্যকে ঢুকতে দেয়া হোক।
একই ভাবে ভারতে স্বাধীন ভাবে কৃষিজাত পণ্য এবং চিকিৎসা যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতে চায় মার্কিন সরকার। ডিজিটাল পণ্য-সহ তাদের একাধিক পণ্য থেকে ভারত শুল্ক প্রত্যাহার করুক, এমনটাও দাবি তাদের। অতীতেও এ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন বাজারে ভারত বিশেষ সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও, ভারতীয় বাজারে মার্কিন পণ্যকে শুল্কছাড় দেয়া হয় না বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার প্রিন্স জর্জ কাউন্টি-তে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও একই কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ভারত আমাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে না।’
এর পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে দ্রুত বড় ধরনের বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়ে দেন, ভারতের জন্য বড় কিছু ভেবে রেখেছেন তিনি। তবে নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তা চুড়ান্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা প্রায় নেই। ট্রাম্প বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হতেই পারে। বড় কিছু ভেবে রেখেছি আমি। তবে তা আপাতত ভবিষ্যতের জন্য বাঁচিয়ে রাখছি।’
অন্য দিকে, দু’দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত বাণিজ্য চুক্তিগুলো উপস্থাপনের জন্য ট্রাম্পের আগেই ভারতে এসে পৌঁছনোর কথা ছিল মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইথিজারের। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে ফোনে একাধিক বার কথাও হয়েছে তার। কিন্তু তাতেও দু’দেশের মধ্যে কাঁটা হয়ে থাকা সমস্যাগুলোর সমাধানসূত্র বেরোয়নি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, লাইথিজারের ওই প্রস্তাবিত সফরই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণে বাণিজ্য চুক্তি ঘিরেও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে আদৌ দু’দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি হওয়া সম্ভব কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে একটা বড় চুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। চুক্তি হবেই। তবে তা নির্বাচনের আগে সম্ভব হবে কি না জানি না।’ সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।