পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তান ও ভারতের বিদ্যমান সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার সময় রোববার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস জোর দিয়ে বলেছেন যে, সামরিক তৎপরতা এবং মৌখিক কথাবার্তা তথা গলাবাজি উভয় ক্ষেত্রেই তীব্রতা কমানোটা গুরুত্বপ‚র্ণ। বৈঠকের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশির সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন গুতেরেস। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশি বলেন যে, গুতেরেসের সাথে বৈঠকটা ছিল “এ যাবতকালে তার সাথে বৈঠকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মজাদার এবং স্বস্তিদায়ক”। অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের কর্মকান্ড এবং গত বছর ওই অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘একতরফা পদক্ষেপ’ আখ্যা দিয়ে এ ব্যাপারে পাকিস্তানের উদ্বেগের বিষয়গুলো তুলে ধরেন কোরেশি। কাশ্মীরের চলমান অচলাবস্থা এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার দিকে জাতিসংঘ মহাসচিবের মনোযোগ আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “বিজেপির মানসিকতার ব্যক্তিরা ছাড়া সকল কাশ্মীরিরা এই সব কর্মকান্ড প্রত্যাখ্যান করেছে”। কোরেশি আরও উল্লেখ করেন যে, ২০১৯ সালের ৫ আগস্টে যখন অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়, তখন থেকে নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের মাত্রা বেড়ে গেছে। অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় উত্তেজনা প্রসঙ্গে গুটেরেস বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। তিনি আরও বলেন যে, “সেখানে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের বিষয়টিতে তিনি বার বার জোর দিয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন”। গুতেরেস মিডিয়াকে বলেন, “জাতিসংঘ সনদ এবং সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী ক‚টনীতি আর সংলাপই একমাত্র পথ যেটার মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হতে পারে এবং সমস্যার সমাধান হতে পারে”। তিনি আরও বলেন যে, তিনি “বারবার জোর দিয়েছেন উভয় পক্ষ চাইলে তার অফিসের সহায়তার প্রস্তাব নিতে পারে”। গুতেরেস আফগান শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে, শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রচেষ্টার বিষয়টিও উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবেলার ক্ষেত্রে তিনি পাকিস্তানের ‘বিলিয়ন ট্রিজ সুনামি’ প্রচারণার বিষয়টি উল্লেখ করেন। আফগান শরণার্থী বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য পাকিস্তানে চার দিনের সফরে আসেন জাতিসংঘ মহাসচিব। সফরকালে ‘ফর্টি ইয়ার্স অব হোস্টিং আফগান রিফিউজিস ইন পাকিস্তান’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা করার কথা জাতিসংঘ মহাসচিবের। পাকিস্তান সরকার ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তারাও সম্মেলনে অংশ নিবেন। গুটেরেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন। ডন, সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।