চার দিনব্যাপী উরশ শরীফকে কেন্দ্র করে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলমুখী জনস্রোত অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশ থেকে লাখ লাখ জাকেরান-আশেকান ও মুসল্লিয়ানরা আল্লাহ-আল্লাহ জিকির করে দরবার শরীফে সমবেত হচ্ছেন।
গতকাল রাতভরই শতশত যানবাহনের স্রোত অব্যাহত ছিল জাকের মঞ্জিলে। দিনভরও সে স্রোতের কোন কমতি ছিলনা। গত শুক্রবার জুমার নামাজের মাধ্যমে চার দিনব্যাপী এ উরশ শরীফের সূচনা হলেও আরো কয়েকদিন আগে থেকেই মুসল্লিরা দরবারে অবস্থান নেন।
বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ থেকে এবারো মুসল্লিরা সমবেত হয়েছেন। ভারতের কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদসহ পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন জেলা এবং বিহার থেকেও বিপুল সংখ্যক জাকেরান-আশেকান এবারের উরশ শরীফে অংশ নিয়েছেন। শেষ রাতে রহমতের সময় থেকে শুরু করে প্রতি ওয়াক্তের নামাজ বিশাল জামাতের সাথে আদায় করা হয়। এছাড়া ফজর ও মাগরিব নামাজ বাদে ফাতেহা শরীফ পাঠ এবং জোহর, মাগরিব ও এশা নামাজ বাদে নফল নামাজ আদায় করেও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়াও দিনভরই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ এবং ওয়াজ করছেন দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ।
উরশে অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ মানুষের জন্য দু’বেলা খানা ছাড়াও তাদের ওজু-গোসলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রচণ্ড কুয়াশা আর শীত উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক মানুষ দরবার শরীফ ছাড়াও ২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকার যে যেখানে পেরেছেন অংশগ্রহণ করছেন। আগামী মঙ্গলবার ফজর নামাজ বাদ ফাতেহা শরীফ ও খতম শরীফ পাঠ শেষে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং মিলাদ অনুষ্ঠিত হবে। এরপরে পুনরায় ফাতেহা শরীফ ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যম এবারের উরশ শরীফের সমাপ্তি ঘটবে।