মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় তাহামিনা আক্তার নামের এক স্কুলছাত্রীর পড়ার ঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ ও লাশের পাশে পড়ার টেবিলে তার মৃত্যুর আগে লেখা চিঠি উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে সাটুরিয়ার মধ্যরৌহা এলাকা থেকে স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
তাহামিনা মধ্যরৌহা এলাকার মরহুম খোরশেদ আলমের মেয়ে। সে গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, তাহামিনা শুক্রবার রাতে মায়ের সাথে খাবার খেয়ে তার পড়ার ঘরে যায়। পরে মধ্যে রাতে তার মা পড়ার ঘরে তাহামিনার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
আর টেবিলে বইয়ের উপর একটি বড় সাদা কাগজে লাল কলম দিয়ে লেখা একটি চিঠি তাতে লেখা, ‘আমি যানি আমি অনেকের সাথে খারাপ ব্যবহার করছি তাই পারলে সবাই আমাকে মাফ করে দিয়েন। (আর ইংরেজিতে বড় করে লেখা) আই এম সরি, মাই ফ্যামিলি এন্ড অল ফ্রেন্ডস, গুড বাই ফর ইভার...’
তাহামিনার মামা আ. সোবহান জানান, তাহামিনার সহপাঠীদের কাছ থেকে জানা যায়, গোপালপুর এলাকার এক যুবকের সাথে তাহামিনার সম্পর্ক ছিল, সে যুবকের কাছে তাহামিনা কিছু ছবি ছিল। ছবিগুলো সে যুবক ফেসবুকে ছেড়ে দেবার হুমকি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করছিল। সে কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
সাটুরিয়া ওসি মতিয়ার রহমান জানায়, দরগ্রামের মধ্যরৌহা এলাকায় তাহামিনা আক্তার নামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তার মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত হবে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর হয়েছে।