পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী মহানগরী থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর চার স্কুলছাত্রীকে ঢাকার সাভার থেকে উদ্ধার করেছে রাজপাড়া থানা পুলিশ। এসময় এক অপহরণকারী নারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১ টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার সাভার মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় সাভারের পূর্ব রাজাসন এলাকা থেকে তাদেরকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার সকালে নগরীর মহিষবাথান আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চার ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু নগরীর টুলটুলিপাড়ার এই চার কিশোরী বিকেলে বাড়িতে না ফেরায় তাদের অভিভাবকরা খোঁজ-খবর নিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের জানায়, চাঁদনী নামের এক নারীসহ ঐ চার কিশোরীকে নগরীর মহিষবাথান কলোনীর উত্তর পার্শ্বে গেট দিয়ে যেতে দেখেছে। পরবর্তীতে তাদের অভিভাবকগণ অভিযুক্ত চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারে- চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায়ই ঢাকায় যায় এবং ১০-১২ দিন পর আবার ফিরে আসে। চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এতে ভুক্তভোগী কিশোরীদের অভিভাবকরা ধারণা করেন- চাঁদনীসহ তার সহযোগিরা তাদের অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে গেছে। এক কিশোরীর পিতার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়। পরে রাজপাড়া থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে এসআই মো. সজীবুল ইসলাম ও তার টিম আসামির অবস্থান সনাক্ত করে গ্রেফতার ও পাচার হওয়া কিশোরীদের উদ্ধারে নামে।
পরবর্তীতে রাজপাড়া থানা পুলিশের ওই টিম প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার সাভার থেকে চাঁদনীকে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজতে থাকা চার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি যৌনকর্মের জন্য তাদেরকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।