বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরাইল উপজেলা সদরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে খুন করা হয়েছে রকেট মেম্বার (৫২) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে। গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে আটটার দিকে উপজেলা সদরের প্রাথবাজরে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি উপজেলা সদরের ব্যাপারীপাড়া গ্রামের চম্মক ব্যাপারীর ছেলে। তিনি ছিলেন সরাইল উপজেলার সদর ইউপির সাবেক সদস্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাতটার দিকে আবু বকর সিদ্দিক বাড়ি থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেল যোগে প্রাথবাজার এলাকায় যান। উপজেলা সদরের প্রাথবাজারে তার একটি মার্কেট রয়েছে। রাত পৌনে আটটার দিকে রকেট মেম্বার তার মার্কেটের সামনে দাড়িয়ে ছিলেন। এ সময় বেশ কয়েটি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস সন্দেহজনকভাবে ঘুরাঘুরি করছিল। এসব যান থেকে এক এক করে নামে ১৫-২০ জন যুবক। প্রথমেই তারা তিন-চারটি ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। মুহুর্তের মধ্যে আশপাশ ফাকা হয়ে যায়। তারা চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে দুই পা ও এক হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ঘটনার পর হামলাকারীরা চাপাতি ও কুড়াল হাতে নিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে চড়ে জেলা সদরের দিকে চলে যায়। এ সময় তারা ফাকা গুলি ছোড়ে।
পরে লোকজন গুরুতর আহত রকেট মেম্বারকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে জেলা সদরে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
রকেট মেম্বারের বড় ছেলে শাহনেওয়জ বলেন, উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক শের আলমের বাড়ি স্বল্পনোয়াগাঁও গ্রামে। কিন্তু তিনি আমাদের গ্রামের সব ব্যাপারে নাগ গলান। তার নির্বাচন না করায় গত এক বছর ধরে আমাদের পরিবারের ওপর নানা অত্যাচার চলছে। বাবাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছে। বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাট করেছে। শের আলম ও শাহ আলমের নেতৃত্বে তাদের লোকজন আমার বাবাকে প্রকাশে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
সরাইল থানার ওসি শাহাদত হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিততি শান্ত রয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।