২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
একজন লেখক ও কবির ১৯৯৫ সালের শেষে এবং ২০০৬ সালের শুরুতে দুইবার ক্যান্সার ধরা পড়ে। চারটি অস্রোপচরের ক্ষত নিয়ে আজও বেঁচে আছেন তিনি। মূলত তিনি গলার কান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ক্যান্সার নিয়ে লড়াই করে করে তিনি আজও লিখে যাচ্ছেন। ক্যান্সার আক্রান্ত প্রখ্যাত লেখকের “ক্যান্সার নিয়ে বেচেঁ আছি” ২০১৩ সালে প্রকাশিত বইটি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। একজন মানুষ কতটুকু সচেতন ও দৃঢ়চেতা হলে ক্যান্সারকে পরাজিত করে আজও লিখে যাচ্ছেন তা শ্রদ্ধেয় এই লেখককে দেখলে বুঝা যায়। ক্যান্সরের চিকিৎসা করি বলে ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন করাও একটি সামাজিক কাজ বলে মনে করি। কেননা শুরুতে ক্যান্সার ধরা পড়লে এবং এর সঠিক চিকিৎসা করলে আপনিও ক্যানাসার থেকে মুক্ত হয়ে সুন্দর জীবন যাপন করতে পারবেন ।
গলার ক্যান্সার থেকে বাচঁতে হলে: ধূমপান সর্বদা ক্যান্সারের শীর্ষ কারণ। এছাড়া যারা তামাক, পান মসলা, অথবা মদ ও তামাক একই সঙ্গে সেবন করেন, তাঁদের গলায় ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সার যতটা না মারাত্মক, তার চেয়ে বেশি আতঙ্কের। কোনো একদিন ছোট্ট কোনো রোগের উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে জানা যায় অগোচরে বেড়ে ওঠা দুঃসংবাদটির কথা। তখন আফসোস হয়, কেন কয়েকদিন আগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হইনি। তাই এই মুমূর্ষু সময়ে পৌঁছনোর আগে সবারই জানা প্রয়োজন, ক্যান্সারের ঝুঁকি কতটা, কী কী উপসর্গ দেখা দিলেই সতর্ক হয়ে উঠবেন আপনি।
গলায় অথবা মুখ, টনসিল, লালা গ্রন্থি, সাইনাস, নাক এবং ঘাড়ের লিম্ফ নোডে প্রথম ধাপে ক্যান্সার ধরা পড়লে তা থেকে মুক্তির পথ মিলতে পারে।
আমেরিকার ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্রের মতে, “এই রোগটি সাধারণত ল্যারিনক্স (ভয়েস বক্স) বা ফ্যারিনক্স (গলা) কে বিশেষভাবে আক্রমণ করে। ল্যারিনক্স, এসোফ্যাগাস, ফুসফুস বা গলায় ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসা শুরু হওয়ার পরে দেখা যায়, কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ফুসফুস, মুখ, গলার পার্শ্ববর্তী অংশে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে।
গলায় ক্যান্সারের সংক্রমণ নির্দিষ্ট অবস্থানের উপর নির্ভর করে। রোগের লক্ষণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে আসে না। যার ফলে সব সময় শনাক্ত করাও সম্ভব হয় না। কীভাবে বোঝা যেতে পারে বাসা বেধেছে ক্যান্সার, তার ব্যাখ্যা দিলেন দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র পরামর্শদাতা ডাক্তার রমেশ সরিন। গলায় আলসার বা গলায় ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ একই। প্রথমত, ক্ষতিকারক খাবার খাওয়ার কারণে হতে পারে। তবে তার জন্য ভুগতে হবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ। কিন্তু যদি দেখা যায়, চার থেকে ছয় সপ্তাহ পার করে যাওয়ার পরও একই সমস্যা রয়ে গেছে, তাহলে অবশ্যই চেকআপের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মুখের ভিতরে সাদা দাগ হওয়া, জিহবার আস্তরণে জ্বালা বা অভ্যন্তরীণ গালের জ্বালা ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ গুলির মধ্যে একটি। জিহবায় ছোট ফুসকুড়ি হওয়াও অন্য উপসর্গ।
আরো একটি উপসর্গ হলো, কন্ঠস্বরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দেবে, অর্থাৎ গলা ভেঙে থাকবে বা কথা বলতে অসুবিধা হবে। যদি তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই সমস্যা থাকে, তবে এটি ল্যারেনজিয়াল ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
ঘাড় বা মুখের কোনো অংশ যদি অস্বাভাবিক ফুলে যায়, বা মাংস পিন্ড জমাট বেঁধে যায়, এবং তা যদি তিন সপ্তাহের মধ্যে না সারে, তাহলে তাও ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে এবং দ্রুত চেক-আপ করাতে হবে । কারন একটি কথা মনে রাখবেন শুরুতেই রোগটি নির্নয় করতে পারলে রোগ মুক্তির সম্ভাবনা থাকে বেশি।
ডাঃ মাহমুদুল হাসান সরদার
ক্যান্সার চিকিৎসক
সরদার হোমিও হল, ৬১/সি আসাদ এভিনিউ,
মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
সেল ০১৭৩৭৩৭৯৫৩৪, ০১৭৪৭৫০৫৯৫৫।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।