মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর ছ’মাস কাটতে চললও, এখনও গোটা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন অধিকৃত কাশ্মীর উপত্যকা। বন্দিদশায় দিন কাটছে উপত্যকার সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রীর। তা নিয়ে এক বার ফের উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মার্কিন সিনেটররা। আগামী সপ্তাহে দু’দিনের ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেওকে চিঠি দিয়ে খোলাখুলি নিজেদের উদ্বেগের কথা জানালেন তারা।
দুই ডেমোক্র্যাট ও দুই রিপাবলিকান সেনেটর পম্পেওকে এই চিঠি দিয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত লিনজি গ্রাহাম। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এখনও পর্যন্ত উপত্যকার অধিকাংশ জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার। বিশ্বের আর কোনও গণতন্ত্রে এত দিন পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নজির নেই। এতে ৭০ লাখ মানুষের জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে চিকিৎসা পরিবেষা, মার খাচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্য, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থাও।’
দীর্ঘ ছ’মাস ধরে কাশ্মীরকে এ ভাবে বিচ্ছিন্ন করে রাখার ফলাফল মারাত্মক হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন মার্কিন সেনেটররা। তারা বলেন, ‘বিশিষ্ট রাজনীতিক-সহ নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে শত শত কাশ্মীরিকে আটক করে রাখা হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলাফল মারাত্মক হতে পারে।’
বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর রাজনৈতিক কারণে কাশ্মীরে ঠিক কতজনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যোগাযোগের মাধ্যমগুলি কতটা সক্রিয়, স্বাধীন পর্যবেক্ষক, কূটনীতিক এবং বিদেশি সাংবাদিকরা আদৌ সব জায়গায় যেতে পারছেন কি না, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ওই সেনেটররা।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরেই সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার। তার মধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তা নিয়ে সম্প্রতি ভারতের সমালোচনায় সরব হন মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের তদারকি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস। মোদি সরকারের নতুন আইন ভারতের ২০ কোটি মুসলিম নাগরিকের সার্বিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন কংগ্রেসের থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস’ (সিআরএস)-ও।
পররাষ্ট্র সচিবকে দেয়া সিনেটরদের চিঠিতেও তা প্রতিফলিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘ভারত সরকার আরও এমন কিছু পদক্ষেপ করেছে, যাতে একটি বিশেষ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার খর্ব হতে পারে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের চরিত্রও খোয়াতে পারে ভারত। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সেই পদক্ষেপগুলির মধ্যে অন্যতম।’ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হলে ঠিক কত জন মানুষ রাষ্ট্রহারা হতে পারেন এবং জাতীয় নাগিরক পঞ্জি (এনআরসি)চালু হলে কত মানুষ প্রভাবিত হবেন, সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও তৈরি করতে আ্জি জানানো হয়েছে সরকারের কাছে।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক, এই মুহূর্তে দ্বিতীয় দফায় উপত্যকায় এসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য-সহ একিট আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল। সে দিকে নজর রয়েছে মার্কিন সরকারেরও। সেই সঙ্গে সিএএ বিরোধী আন্দোলনেও নজর রাখছে তারা। সেই পরিস্থিতিতেই ভারতে আশছেন ট্রাম্প। তার মধ্যে এই চিঠিতে ভারতের অস্বস্তি বাড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।