বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত সুমন সিকদার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে এ ঘটনায় রহস্যও উদঘাটন করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. রাসেল (২১), মো. আল আমিন খান (২২), মো. ইমরান (১৯), মো. শাকিল (২০) ও মো. রাজীব (২০)।
গতকাল রাতে ডিএমপির গোয়েন্দা পশ্চিম বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. আনিচ উদ্দীন জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন রহিম বেপারীর ঘাট এলাকায় সুমন শিকদারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সুমনের বাবা বাদি হয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে মামলাটি তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ। তদন্তকালে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পৃথক স্থান থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় সুমন হত্যার সাথে জড়িতের কথা স্বীকার করেছে তারা। পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, সুমন গরু শাহ আলামের গ্রুপে চলাফেরা করত। কিন্তু গরু শাহ আলমের গ্রুপের সাথে ভাত রাসেল গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাদের দ্ব›দ্ব চলছিল। ওই দ্ব›েদ্বর জের ধওে গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন মোহাম্মদপুর একটি ভোট কেন্দ্রে সুমন সিকদারের সাথে ভাত রাসেল গ্রুপের সমর্থকদেও কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওইদিন রাতেই সুমনের ওপর হামলা করা হয়।
সুমন হত্যার সাথে জড়িত দুই জন মহানগর আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ওই হত্যার সাথে তারা সরাসরি অংশগ্রহণের কথা স্বীকার করেন। বাকি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তবে ওই গ্রæপের মূলনেতা ইমন। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।