মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিল্লির নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জয়ের কৃতিত্বের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির পরাজয়কেই বড় করে দেখাল আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। কেজরীওয়ালের জন-প্রিয়তার রাজনীতির জয় বলে উল্লেখ করেও সংবাদ মাধ্যমগুলোর বক্তব্য, মোদির জন্য বড় ধাক্কা। একই সঙ্গে মোদি তথা বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির সমালোচনা করেছে অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যম।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য আম আদমি পার্টির। ৬২টি আসন জিতে ফের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসতে চলেছেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। উল্টোদিকে মাত্র আটটি আসন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। কংগ্রেসের হাতে একটি আসনও নেই। দেশের রাজনৈতিক শিবিরের পর্যবেক্ষণ, কেজরীওয়ালের উন্নয়ন তথা জনকল্যাণমুখী নীতির কাছে হার মেনেছে গেরুয়া শিবিরের বিভাজন ও জাতপাতের রাজনীতি।
বুধবার বহুল প্রচারিত আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমেও অন্যতম চর্চার বিষয় দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। নিউইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম, ‘মোদির দলের কাছে বড় ধাক্কা’। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দল নাগরিকত্ব ও উগ্র হিন্দুত্ববাদের ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিল। ভোটপ্রচারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর প্রতিবাদীদের গুলি করে মারার কথা বলেছিলেন, সেই প্রসঙ্গের উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। পাশাপাশি কেজরীওয়াল যে অপেক্ষাকৃত নরম অবস্থানে থেকে শুধুই জনমুখী রাজনীতির উপর ভরসা রেখেছিলেন, তা-ও বলা হয়েছে।
‘মোদির দলের আশ্চর্য পরাজয়’ শিরোনামে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে কেজরীওয়ালের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে রয়েছে স্কুল শিক্ষা, মহল্লা ক্লিনিক তথা বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা, সস্তা ও বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, মহিলাদের জন্য বিনা পয়সায় সরকারি বাসে সফরের মতো বিষয়। ‘মোদির উপর আঘাত’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
আট মাস আগেই লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছিল আপের। দিল্লিতে একটি আসনও পায়নি কেজরীওয়ালের দল। সাতটি আসনেই জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। সেই প্রসঙ্গ টেনে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের শাসক দলকে বড় ধাক্কা দিল আপ। অন্য দিকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে মন্তব্য, মোদির হিন্দুত্ব ও বিভাজনের নীতি মুখ থুবড়ে পড়ল দিল্লিতে।
মেরুকরণের রাজনীতির সমালোচনা করে দ্য গার্ডিয়ানের মন্তব্য, ‘এই ফল বিজেপির চেয়েও বেশি হার মোদির। সম্প্রতি একাধিক রাজ্যে বিজেপির হারের পর দিল্লিতেও হারকে মোদির পরাজয় হিসেবেই দেখেছে দ্য গার্ডিয়ান। পাশাপাশি অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমের মতোই কেজরীওয়ালের জনমুখী নীতির প্রশংসা করেছে এই সংবাদপত্র। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।