মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অরবিন্দ কেজিওয়ালের আম আদমি পার্টির উত্থানে রাজধানী দিল্লির রাজনীতিতে কর্পূরের মতো উবে গেল ভারতের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে যেন পতনের ষোলোকলা পূর্ণ হলো। এই নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৬টিতে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তার মধ্যে কংগ্রেসের ৬৩ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় মাথায় নিয়ে ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন সুভাষ চোপরা। ভোটের ফল প্রকাশের পরপরই দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুভাষ চোপরা বলেন, দিল্লির প্রধান হিসেবে কংগ্রেসের এই শোচনীয় পরাজয়ের নৈতিক দায় আমি অস্বীকার করতে পারি না। সে কারণেই ইস্তফা।
সুভাষ চোপরার মেয়ে শিবানি চোপরা এবার কালকাজি থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন। তারও জামানত জব্দ হয়েছে। দিল্লি বিধানসভার সাবেক স্পিকার যোগানন্দ শাস্ত্রীর মেয়ে,দিল্লি মহিলা কংগ্রেসের বর্তমান সহ-সভানেত্রী প্রিয়াঙ্কা সিং-ও জামানত রক্ষা করতে পারেননি। মাত্র ৩.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
শীলা দীক্ষিতের মুখ্যমন্ত্রিত্বে এই কংগ্রেস ১৫ বছর দিল্লি শাসন করেছে। সেই দলটির জনসমর্থন এবার ভোটে ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। ৭০টির মধ্যে ৬৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তার মধ্যে কংগ্রেসের ৬৩ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
কেবল কংগ্রেসের তিন প্রার্থী- গান্ধীনগর থেকে অরবিন্দর সিং লাভলি, বাদলি থেকে দেবেন্দ্র যাদব এবং কস্তুরবা নগর থেকে অভিষেক দত্ত জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন। কংগ্রেসের একজন প্রার্থীও জিততে পারেননি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কংগ্রেসকে শূন্য হাতে ফেরাল দিল্লি।
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সঙ্গে জোট বেঁধে এবার দিল্লির ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিল কংগ্রেস। জোট শরিক আরজেডিকে ৪টি আসন ছেড়ে দিয়ে, ৬৬ আসনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ে তৃতীয়বারের ক্ষমতায় আসলো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। মোট ৭০ আসনের মধ্যে ৬২টি পেয়েছে তারা। অবশ্য গতবারের চেয়ে তাদের আসন ৫টি কমেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মরিয়া প্রচারণা সত্তে¡ও ৮টির বেশি আসন পায়নি বিজেপি। তবে গতবারের চেয়ে তাদের আসন সংখ্যা ৫টি বেড়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে প্রথমবার আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে। পরে ২০১৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৬৭টিতেই জিতে নিয়েছিল কেজরিওয়ালের দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।