মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একজন আফগান শরণার্থী হিসেবে পাকিস্তানে বড় হওয়া সামিয়া তোরার জীবনে রক্তপাত যেন ছিলো রোজকার ঘটনা। নব্বই এর দশকে আফগানিস্তানে তালিবানদের উত্থানের পর তার পরিবার পাকিস্তানে পালিয়ে চলে আসে। সামিয়া বলেন, ‘আমি সংঘাত সহিংসতার মধ্যেই বড় হয়েছি, কিন্তু আমার তো কিছু করার ছিলো না।’
আফগানিস্তানের তুলনায় পাকিস্তানে অনেক ভালো ছিলেন তারা। বিবিসিকে সামিয়া বলছিলেন, তার কারণ পাকিস্তানে তারা অন্তত স্কুলে যেতে পারছিলেন। সামিয়ার মনে আছে, ২০০২ সালে পরিবারের সঙ্গে কাবুলে বেরাতে গিয়েছিলেন তারা, তখন মাত্র দেশটিতে মার্কিন হামলা শুরু হয়েছে। সেখানে তিনি দেখেছেন, কোন মেয়েকে স্কুলে যেতে হলে ছেলে সেজে যেতে হয়। তার বয়স তখন মাত্র ছয় বছর, সেসময়ই তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেন, লেখাপড়া ঠিকমত করবেন।
দেখা যাচ্ছে, লেখাপড়া ঠিকমতই করেছিলেন সামিয়া। সামিয়া এখন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যে আর্লহ্যাম কলেজে পড়াশোনা করছেন। আগামী অক্টোবরে ২২ বছর বয়সী সামিয়া প্রথম আফগান হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে নামী আর পুরনো বৃত্তিগুলোর একটি রোডস স্কলারশিপের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পোস্টগ্রাজুয়েট ডিগ্রী নিতে যাচ্ছেন।
আফগানিস্তানে এখনো শিক্ষিত নারী সংখ্যায় বিরল। ইউনেস্কোর হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে নারীদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার এখন ১৭ শতাংশ। শরণার্থী হবার কারণে তার বাবা পাকিস্তানে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাননি, আর সামিয়ার পড়াশুনার ক্ষেত্রেও ছিল নানা বাধা। যে কারণে পড়াশুনার জন্য ভিন্ন জায়গা খুঁজতে হয়েছে তাকে। একদিন হঠাৎ অনলাইনে খুঁজতে গিয়ে সামিয়া একটি হাইস্কুল খুঁজে পান, ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজ ইউডাব্লিউসি। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাপী ছড়ানো তাদের ভিন্ন ভিন্ন ক্যাম্পাসে বিদেশী শিক্ষার্থীদের পড়ার ব্যবস্থা করে।
নিউ মেক্সিকোতে ওই স্কুলে সামিয়ার সুযোগ পাবার ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে সহিংসতার ইতিহাস। ২০১৪ সালের মার্চে কাবুলের যে হোটেলে বসে তিনি এন্ট্রান্স পরীক্ষা দেন, তার পর দিনই সেখানে হামলা চালায় তালিবান। সেরেনা হোটেলে সেই হামলায় ইউডাব্লিউসি›র সিলেকশন কমিটির প্রধান রোশান থমাস-সহ নয়জন নিহত হয়েছিলেন।
সামিয়া রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রান্ট মুভমেন্ট নিয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী নিতে চান, এবং এরপর নিজের দেশ আফগানিস্তানে ফেরত যেতে চান। তার মতে, যারা উন্নত জীবনের সুযোগ সুবিধাগুলো পেয়েছেন, তাদেরকেই নতুন আফগানিস্তান গড়তে হবে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।