Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শালতা নদী খনন করুন

সাধন সরকার | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

এক সময়ের আশীর্বাদের শালতা নদী এখন অভিশাপে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে খনন না হওয়ায় নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। সাতক্ষীরার তালা ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির কোনো কোনো অংশ নিশানাহীন হয়ে গেছে। দু›পাশে পলি পড়ে প্রায় ৫০০ ফুট চওড়া নদী এখন সরু নালা। পলি পড়ে নদীটি সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি মূল নদীটির গভীরতাও ব্যাপকভাবে কমে গেছে। নদীর কিছু অংশ সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। শালতা নদী একসময় বহু ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়েছে। নদীতে একসময় লঞ্চ, স্টিমার চলত। কালের বিবর্তনে নদী দিয়ে এখন মানুষ মোটরসাইকেল ও ভ্যান চালিয়ে পার হয়। ভরাট হওয়া সমতল অংশে গড়ে উঠেছে বসতবাড়ি ও অবৈধ স্থাপনা। নদীটির নিচু অংশে বাঁধ দিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে চিংড়ি ও মাছের ঘের। নদীটির অধিকাংশ অংশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরার তালা, খুলনার পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষকে বর্ষার প্রায় ছয় মাস জলাবদ্ধতায় থাকতে হয়। পানির ওপর নির্ভর করে সেচের মাধ্যমে নদীর পাশের হাজার হাজার বিঘা বিল ও জমিতে ফসল ফলানো হতো। কিন্তু এখন পানি সংকটে সেচনির্ভর কৃষিকাজও হুমকির সম্মুখীন। বলতে গেলে নদীতে জোয়ার-ভাটা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। একসময়ের জীবন-জীবিকা সচল করা নদীটি এখন লাখ লাখ মানুষের জীবনে অভিশাপে পরিণত হয়েছে। মারাত্মক নাব্য সংকটে ভুগছে নদীটি। এখনই নদীটির পরিকল্পিত খনন করা দরকার। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নদী

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন