মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ঝাঁকবদ্ধ পতঙ্গ পঙ্গপালের আক্রমণ নিয়ে ভারতকে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেন (এফএও)। এনডিটিভি’র তথ্যানুযায়ী, আগামী মে মাস থেকে এই পতঙ্গের আক্রমণের মুখে পড়তে পারে ভারত বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
ফাও’র পঙ্গপাল বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পূর্বাভাস কর্মকর্তা কেইথ ক্রেসম্যান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ বছর দুই দফায় পঙ্গপালের আক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এই পঙ্গপাল তেড়ে আসবে ইরান ও হর্ন অব আফ্রিকা (জিবুতি, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়া) অঞ্চলের মরুভূমি থেকে।
পঙ্গপালের আক্রমণে জন-জীবন যেমন বিপর্যস্ত হয়, তেমনি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে ফসল। ঝাঁকে ঝাঁকে আসা পঙ্গপাল নষ্ট করে ফেলে জমি বা বাগানের ফসল। এতে খাদ্যশস্য বিনষ্ট হয়ে যায়।
সম্প্রতি পাকিস্তানও এই পঙ্গপালের আক্রমণের মুখে পড়ে। দেশটির পূর্বাঞ্চলের সিন্ধু প্রদেশে প্রথমে এ আক্রমণ শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন অংশে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার জরুরি অবস্থা জারি করে।
ফাও বলছে, কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পঙ্গপালের আক্রমণের মুখে পড়েছে বিশ্ব। এ কারণে কয়েক মিলিয়ন মানুষ রয়েছেন খাদ্য সংকটে পড়ার ঝুঁকিতে। এই বিপদ বেশি ভোগাতে পারে আফ্রিকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে। সেজন্য পঙ্গপালের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় মোকাবিলায় ৭ কোটি ডলারের তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ফাও ও জাতিসংঘ।
বিশ্বজুড়ে পঙ্গপালের এমন উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার পেছনে ভারী বর্ষণ ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকে দায়ী করছে ফাও। তারা বলছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পঙ্গপালের প্রজনন বেড়ে গেছে হু হু করে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন ধরনের পঙ্গপালের দশ লাখ পতঙ্গের একটি ঝাঁক এক দিনে ৩৫ হাজার মানুষের খাবার খেয়ে ফেলতে পারে। ফলে লাখ লাখ মানুষ বিশেষ করে আফ্রিকা অঞ্চলের মানুষ খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে। আগামী এপ্রিলে এই পঙ্গপাল নতুন করে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ওই সময়কেই পঙ্গপালের বংশবৃদ্ধির সময় বলে বিবেচনা করা হয়।
আসন্ন বৃষ্টিপাতের মৌসুমে ভারত-পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ায় পঙ্গপাল মারাত্মক আক্রমণ চালাতে পারে বলে মনে করেন এফএও কর্মকর্তা কেইথ ক্রেসম্যান। নিজের সাম্প্রতিক ভারত সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, গ্রীষ্মে পঙ্গপালের আক্রমণ যেভাবে ভারত সামলেছে তাতে আগামী বর্ষা মৌসুমের চ্যালেঞ্জও তারা মোকাবিলা করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে উষ্ণ আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত পঙ্গপালের বংশবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে বলে জানান কেইথ ক্রেসম্যান। এর ফলে সীমান্ত দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানে পতঙ্গটি ঢুকে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।