বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শ্রীপুরে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে স্ত্রীকে মারধর করে স্বামীকে আটক করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এসআই রফিকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। গতকাল বিকেলে পৌর এলাকার কেওয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে আইনুদ্দিনের দোকানের সামনের সড়কে শতশত লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, শ্রীপুর থানার দারোগা রফিক প্রায় সময়ই রাতের বেলা বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে মাদক থাকার কথা বলে মালামাল তছনছ করে। মাদক না পেয়ে মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। গত রোববার রাতে মৃত কাদিরের বাড়িতে এসআই রফিক এক দল পুলিশ ও সোর্স নিয়ে মাদকের সন্ধানে অভিযান চালান। মাদক না পেয়ে মৃত হামিদের পুত্র অটোরিকশা চালক সুজনকে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতানোর চেষ্টা করে। এ সময় অটো চালককে ধরে নিয়ে আসার সময় এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের হাতাহাতি হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ সুজনের স্ত্রী গার্মেন্টস শ্রমিক হাসনাকে বন্দুক দিয়ে আঘাত করে। পরে সুজনকে থানায় নিয়ে যায়। সুজন, তার মা হামিদা খাতুন, ছোট ভাই সুমনসহ এলাকার সাইফুল ইসলামের নামে ২০ পিস ইয়াবার মামলা দিয়ে সুজনকে জেল হাজতে পাঠায়। আটক সুজনের স্ত্রী হাসনা জানান, গত মাসেও আমার স্বামীকে আটকের ভয় দেখিয়ে ১২ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে এসআই রফিক প্রতিবন্ধী আসাদুল্লাহকে মারধর করে তার পুত্র ফরিদকে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে নগদ ২৫ হাজার টাকা, একই এলাকার মৃত আ. কাদিরের পুত্র সুজনের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা, আ. হামিদের পুত্র মজিবুর রহমানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতিবেশী শাহনাজ বেগম জানান, আমার ছেলের নামে দারোগা রফিক মিথ্যা মামলা দিয়েছে। রফিক দারোগার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। আমরা তার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সুজন একজন মাদক ব্যবসায়ী। সুজনকে গ্রেফতার করে আনার সময় লোকজন বেরিকেডের সৃষ্টি করেছিল।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।