নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আবহাওয়া দুশ্চিন্তা নিয়ে মালদ্বীপ গেল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বাংলাদেশে এখনো শীতের প্রকোপ থাকলেও মালদ্বীপে বেশ গরম। এই গরমের মধ্যেই আবাহনীকে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কাপের প্লে-অফ পর্বের ফিরতি ম্যাচ খেলতে হবে মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে। ১২ ফেব্রুয়ারি মালে’তে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। এ ম্যাচকে সামনে রেখে রোববার বিকেল ৪টায় রওয়ানা হয়েছে আবাহনী লিমিটেড। রাত প্রায় ১০টায় তাদের মালে পৌঁছার কথা। টিম ম্যানেজমেন্ট সুত্র জানায়, মালে’তে পা রাখার আগেই এখনকার গরমের ব্যাপারে জেনেছেন আবাহনীর ফুটবলাররা। বর্তমানে সেখানকার তাপমাত্রা নাকি প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সঙ্গে আছে আর্দ্রতা। তাই মালদ্বীপের আবহাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আবাহনীর র্কতারা।
মালদ্বীপ চ্যাম্পিয়ন মাজিয়া’র বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে মাঠে নামার আগে বেশ চাপেই রয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ছয়বারের শিরোপাধারী ঢাকা আবাহনী। গেল ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হোম ম্যাচে মাজিয়ার সঙ্গে আবাহনী ২-২ গোলে ড্র করায় এই চাপ বেড়ে যায়। টুর্নামেন্টের পরের পর্বে যেতে হলে অ্যাওয়ে ম্যাচে জিততেই হবে আবাহনীকে। আর ম্যাচটি যদি ১-১ ব্যবধানে ড্র হয় তাহলে ভাগ্য খুলে যাবে মাজিয়ার। এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের মাঠে বেশি গোল করার সুবাদে তারাই যাবে পরের পর্বে। আর ৩-৩ গোলে ড্র করলে আবাহনী যাবে। তবে মালদ্বীপ যাওয়ার আগে ম্যাচের ফলাফলের চেয়ে সেখানকার আবহাওয়া দুর্ভাবনাই বেশি ছিল আবাহনীর খেলোয়াড়দের মনে। রোববার ঢাকা ছাড়ার আগে দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রুপু এমনটাই জানান। তিনি বলেন,‘আমরা এর আগেও মালেতে খেলেছি। তখন প্রচন্ড গরম আর আর্দ্রতায় বেশ কষ্ট হয়েছিল খেলোয়াড়দের। এবারো আবহাওয়া তেমন থাকলে ফুটবলারদের খেলতে সমস্যা হতে পারে। আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমরা আগেই যাচ্ছি। আশা করি ছেলেরা মালে’র আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবে।’
শুধু যে মালদ্বীপের আবহাওয়াই ভাবাচ্ছে আবাহনীর ফুটবলারদের তা কিন্তু নয়, আরেকটি সমস্যা রয়েছে। আর তা হচ্ছে করোনা ভাইরাস। দেশ ছাড়ার আগে দলটির তারকা মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে আমাদের মাস্ক পড়ে থাকতে হবে বাইরে। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মালে পর্যন্ত মাস্ক পড়ে থাকবো আমরা। তবে যা-ই হোক, মালে থেকে জয় নিয়েই ফিরতে চাই। জায়গা পেতে চাই এএফসি কাপের পরের পর্বে।’
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ঢাকা ছাড়ার আগে কাল ১০টি মাস্ক কিনেছেন ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন চৌধুরী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি মালদ্বীপে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক রয়েছে। তাই আজ (রোববার) মাস্ক কিনে নিলাম।’ শুধু নাসিরই নন, আবাহনীর সব ফুটবলাররাই মাস্ক কিনেছেন। করোনা ভাইরাস আতঙ্কের পাশাপাশি ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশার খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় খেলতে না পারলেও ফিরতি পর্বের ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন বলে দলের সবাই আশা করেছিলেন। কিন্তু পেটের পীড়ায় ভুগে হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হয়েছে বাদশাকে। তাই ফিরতি পর্বের অনুশীলনেও ছিলেন না তিনি। ফলে দলের রক্ষণভাগ নিয়ে কিছুটা চিন্তিত আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমোস। তারপরও তিনি জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না। তার কথায়,‘টুটুল সম্ভবত এই ম্যাচও খেলতে পারবে না। সে খেললে আমাদের পরিকল্পনা এক রকম হতো, না খেললে হবে অন্য রকম। তবে সে খেলতে পারলে অবশ্যই ভালো হতো আমাদের জন্য।’
লেমোসের ভাবনায় এখন শুধুই মালের ম্যাচটি। এই ম্যাচ শেষে লিগের দিকে মনযোগ দিতে চান তিনি। লেমোস বলেন, ‘আপাতত আমাদের চিন্তায় শুধুই এএফসি কাপ। যেভাবেই হোক মালেতে জিতে পরের পর্ব নিশ্চিত করতে হবে। মালের মাঠে ছেলেরা নিজেদের সেরাটা ঢেলে দিতে পারলে জয় পাওয়া সম্ভব। আমরা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মালদ্বীপ যাচ্ছি।’ তিনি যোগ করেন,‘এএফসি কাপের ফিরতি লেগে জিততে পারলে লিগে মনোযোগ দিতে পারবো। আমাদের সামনে লিগ শিরোপা ফিরে পাওয়ার মিশন। ভালো খেলেই এবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।