Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিচার দাবিতে ঢাবিতে গণঅবস্থান

সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

বাধভাঙা সব আসুক রাগ, কন্ঠে মোদের স্লোগান থাক- আরে দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা! স্লোগানকে সামনে রেখে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে নাগাতার ১৫ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শিক্ষার্থী নাসের আব্দুল্লাহর সাথে সংহতি জানিয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাষ্কয়ের পাদদেশে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন ছাত্র ফেডারেশনের নেতারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত নেতারা সীমান্তে সকল হত্যাকান্ডের বিচার ও সীমান্ত সমস্যা সমাধানের জোর দাবি জানান। এ সময় অন্যান্যে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, ঢাবি শাখার সভাপতি আবু রায়হান খান, সাধারণ সম্পাদক সালমান ফারসি প্রমুখ। এছাড়াও ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশন করে আলোচিত হওয়া ওয়ালিদ আশরাফ অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জ্ঞাপন করেন।

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একের পর এক বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজুস্মৃতি ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে আসছেন বিভাগের এমবিএর শিক্ষার্থী নাসের আব্দুল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের এই আবাসিক শিক্ষার্থীর প্রতিবাদী অবস্থানের গতকাল ১৫তম দিন ছিলো। অবস্থান কর্মসূচীর বিষয়ে নাসের আব্দুল্লাহ বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা বন্ধ করতে জাতীয় সংহতির প্রয়োজন। দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দিতে হবে। ভারতের সাথে বাণিজ্যঘাটতি থেকে শিক্ষাব্যবস্থায় যে আগ্রাসন আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রজনতার সবাইকে আহ্বান করছি তীব্র প্রতিবাদ-আন্দোলন গড়ে তোলার।

তিনি বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের নির্বিচারে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা বিনা প্রতিবাদ-প্রতিরোধে অব্যাহতভাবে চলছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় তিনগুণ বেড়ে গেছে সীমান্ত হত্যা। অথচ স্বাধীন–সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের সরকার কিংবা অন্যান্য সক্রিয় রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোর এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই বলেই মনে হচ্ছে। সীমান্তে লাশের পর লাশের সারি যখন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে আর স্বামী-পুত্রের গুলিবিদ্ধ লাশ হাতে বিধবা আর সন্তানহারা মা যখন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি তখন বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি আর ভারতের মদদপুষ্ট সরকারের নির্লজ্জ দালালি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।##



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৫:৫৩ এএম says : 0
    সাব্বাস আপনারা সকল জাতীয় বীর। লাতি মারি সকল ভারতীয় দালাল আর কাঁপূরুশ। জাগো বাংলাদেশ জাগো প্রতিশোধ লও সকল হত্যাকান্ডের। ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:২৫ এএম says : 0
    Eai desh premik satroder antorik mobarokbad jekhane khomotashin shorkar, varot shimanto hotta hote shoru kore shob kisutei agrashan chalachse,khomotashin shorkar konotaroi protibad korsena,pororashtro nitite ekebare nistej notojanu sheikhane amader vobishot kornodhar eai satrora proitabad mukhor hoye othse shotti iha amader shadhinota sharvo mmotto rokkhai ashar alo jagai.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ