পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে অর্ধশতাধিক কার্গো জাহাজ টিএসপি সার, পাথর, গম, কয়লা নিয়ে আটকা পড়েছে। জাহাজগুলো চট্টগ্রাম থেকে পাবনার নগরবাড়ি ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিল।
দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরি ঘাট থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার ভাটিতে নাব্যতা সঙ্কটে অর্ধশতাধিক মালবাহী কার্গো জাহাজ আটকা পড়ে আছে। জাহাজগুলো এই রুটে চলাচল করতে ১২/১৩ ফিট ড্রাপ পানি প্রয়োজন। এই রুটের পাবনার মোল্লারচর, লতিফপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে বিভিন্ন জায়গায় ডুবোচর ও নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যে কারণে জাহাজগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না।
এদিকে মোল্লারচর, লতিফপুর এলাকায় মাঝ নদীতে ফাঁকা জায়গায় জাহাজগুলো নিরাপদ নয়। জাহাজ থেকে আনলোড করার মত কোন সুব্যবস্থা নেই। তাই দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ভাটিতে নোঙর করে রয়েছে। এখান থেকে প্রতিটি জাহাজের মাল আনলোড করে ছোট ছোট বলগেটে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে সময় ও ব্যয় বেশি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
আটকে থাকা কার্গো এমভি মাস্টার জিহাদের চালক বোরহান উদ্দিন বলেন, বর্ষা মৌসুমে জাহাজ নিয়ে চলাচলে কোন সমস্যা হয়নি। এবার শুকনো মৌসুমের শুরুতে পাবনার মোল্লারচর ও লতিফপুর এলাকায় নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যে কারণে ১২/১৩ ফিট নিচু ড্রাপ জাহাজ চলাচল করতে পারে না। এই এলাকায় এখন পানি রয়েছে ৮/৯ ফিট। তাই মাঝ নদীতে জাহাজ নোঙর করে রয়েছে। এখান থেকে কিছু মাল অন্য বলগেটে আনলোড করা হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ঘাটের লেবার সরদার আয়ুব মন্ডল বলেন, পদ্মানদীতে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে সার ও কিংকার বোঝাই কার্গো জাহাজগুলো দৌলতদিয়া ঘাটে নোঙর করেছে। এখান থেকে আমরা কিছু মাল আনলোড করি এবং ছোট বলগেটে নেয়ার ব্যবস্থা করি। বিনিময়ে আমরা কিছু টাকা পাই।
আরিচা পোর্ট অফিসার মো. সেলিম রেজা জানান, নদীতে নাব্যতা সঙ্কট থাকায় কার্গো জাহাজগুলো আটকে রয়েছে। তবে এই রুটে চলাচলের জন্যে নির্ধারিত ড্রাপ রয়েছে। এর চেয়ে অতিরিক্ত ড্রাপ লোড করে কোন জাহাজ আসলে তাকে কিছু মাল আনলোড করে ড্রাপ কমিয়ে যেতে হয়। এই নৌরুটে কত ড্রাপ আছে জানতে চাইলে পোর্ট অফিসার বলেন, এবার কত ড্রাপ নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা আমার জানা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।