Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আতঙ্কে ইদলিব ছেড়ে পালাচ্ছেন বেসামরিক নাগরিকরা

হামলার ধরন অনুপাতে প্রতিশোধ নেবে তুরস্ক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

সিরিয়ার ইদলিবে তুরস্কের সেনাদের ওপর কোনো হামলা হলে প্রতিশোধ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল অলকে ডেনাইজার রাজধানী আঙ্কারায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সব ধরনের হামলার অনুপাত হারে প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ইদলিবে থাক আমাদের পর্যবেক্ষণ পোস্ট থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাবে। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার বলেন, গত সোমবার উত্তরপশ্চিম সিরিয়ার ইদলিবে সিরিয়া সরকার হামলা চালায়, এতে সাতজন তুর্কি সেনা নিহত হয়। এছাড়া একজন বেসামরিক ঠিকাদারও নিহত হন। এছাড়া হামলায় ১৩ জন আহত হয়েছেন, তাদের অবস্থা এখন ভালো। এ সময় হামলার কথা পুনরায় উল্লেখ করে তিনি জানান, তুরস্কের সেনাবাহিনী অন্তত ৫০টি লক্ষ্যে হামলা চালিয়েছে এবং ৭৬ জন সিরিয়ার সেনাবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে। সিরিয়ার সরকার বাহিনী ও তার জোটের হামলার মুখে ইদলিবের বিরোধপ‚র্ণ অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। গত চার দিনে ৯০ হাজারের বেশি মানুষ উত্তর-পশ্চিম ইদলিব ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ খবর জানিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাশার আল আসাদ বাহিনী, রাশিয়া ও ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলার মুখে আলেপ্পো ও ইদলিব থেকে হাজার হাজার মানুষ গৃহছাড়া হয়ে পড়েছে। সিরিয়ার একটি গোষ্ঠী জানায়, তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত বেসামরিক মানুষ তুরস্কের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে চলে গেছে। এতে বলা হয়েছে, হামলার কারণে বাড়ি ছেড়ে আসা বেসামরিক মানুষজন হয় তুরস্কের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পালিয়ে আসছে অথবা তুরস্কের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসীমুক্ত অঞ্চলগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে সিরিয়ার ইদলিব ও আলেপ্পো থেকে প্রায় ১১ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের তুরস্ক ও রাশিয়ার সঙ্গে ইদলিব নিয়ে চুক্তি হয়। সেখানকার অঞ্চলগুলো কম ঝুঁকিপ‚র্ণ রাখতে হামলা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। প্রতিনিয়িত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে বিরোধপ‚র্ণ অঞ্চলে হামলা চালিয়ে ১৩শ› বেসামরিক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে আসাদ সরকার ও রাশিয়ান বাহিনী। তুরস্ক নতুন করে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি ঘোষণা দিয়েছিল যে, ১২ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। যদিও সিরিয়ার বাহিনী ও ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইয়েনি শাফাক।



 

Show all comments
  • Rasel Ahmed Risvy ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৪ এএম says : 0
    তুর্কী সেনা সিরিয়ায় কেন? কি প্রয়োজনে? কার আহবানে ও কার অনুমতি নিয়ে এবং কার পক্ষে কার বিপক্ষে যুদ্ধ করতে?
    Total Reply(0) Reply
  • Utsab Mondol ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৪ এএম says : 0
    কেন ভাই, ইদলিব কি তুরস্কের?? নাকি সিরিয়ার।
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ মোশাররফ ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
    সকল বিদেশিরা সিরিয়া ছেড়ে চলে আসো এমনিতেই শান্তি ফিরে আসবে।
    Total Reply(0) Reply
  • কাজী হাফিজ ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
    হে আল্লাহ সিরিয়ার নিরীহ মুসলিম ভাইবোনদের হেফাজত করো।
    Total Reply(0) Reply
  • নাসিম ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
    এই অসহায় মানুষগুলো কতকাল এভাবে পালিয়ে বেড়াবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ