Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাতিরা ‘ভদ্রলোক’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিলেন, হাতির চলাচলের পথ নির্বিঘœ করতে মানুষ বাধ্য। তামিলনাড়– রাজ্যের ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘নীলগিরি এলিফ্যান্ট করিডর’ কমপক্ষে ৯০০ হাতির পূর্বঘাট ও পশ্চিমঘাট পর্বতমালা অঞ্চলের মধ্যবর্তী চলাচলের পথ। হাতির চলাচলের সেই পথ মানুষের ‘আক্রমণ’-এ বিপন্ন হয়েছে। পাহাড় বনাঞ্চল কথা বলতে পারে না। হাতি বিরাট ও বলশালী হলেও সভ্য মানুষের ক‚ট বুদ্ধি ও প্রযুক্তির নিকট পর্যুদস্ত। অতএব হাতির চলার পথ যে মানুষ দখল করে নেবে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কী আছে?
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ বোবডে বলেছেন, বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ হলে মানুষ অন্যত্র বাসস্থান গড়তে পারে। কিন্তু বনাঞ্চল ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে হাতিরা উচ্ছেদ হলে কোথায় যাবে? তিনি মন্তব্য করেন, হাতিরা ‘ভদ্রলোক’। মানুষের কী দরকার পড়েছে বনের গভীরে যাওয়ার?
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে হাতি-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে উত্তরবঙ্গের অবস্থাই সবচেয়ে করুণ। প্রায়ই বনের ভেতরে রেললাইনে ট্রেনে কাটা পড়া হাতির রক্তাক্ত শরীর সংবাদ শিরোনাম হয়। উত্তরবঙ্গে বা বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার গ্রামে হাতি এসে পড়লে মানুষ উত্তেজিত হয়ে উঠে। আসলে হাতি নয়, মানুষই যে অপরাধী, মানুষই যে হাতির স্বাভাবিক বাসভ‚মির মধ্যে অনুপ্রবেশ না হউক অনধিকার প্রবেশ করেছে।
জাতীয় ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ প্রকল্পের অধীনে কেরালা রাজ্য সরকার জনবসতি সরিয়ে হাতির চলার পথ মসৃণ ও প্রশস্ত করেছে। এবার পশ্চিমবঙ্গ ভেবে দেখবে না? সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ