Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্য হাতির আতঙ্কে আনোয়ারাবাসী

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড এলাকার দেয়াং পাহাড়ে বার বার ছুটে আসছে বন্য হাতির দল। মাঝে মাঝে কখনো দিনে কখনো রাতে পাহাড় থেকে নেমে আসে লোকালয়ে। গত দেড় বছরে অনোয়ারায় হাতির আক্রমনে প্রাণ হারিয়েছে ৫ জন আহত হয়েছে শতাদিক। হাজার অধিক ঘরবাড়ি ক্ষেতখামার, গাছপালাও ফসলি জমি ক্ষতি করে চলছে হাতির দলগুলো। গত কয়েক দিন ধরে হাতিগুলো কোরিয়ান ইপিজেড এলাকায় সড়কে নেমে বেশ তান্ডব চালায়। এ সময় সড়কের দু-পাশে থাকা নারিকেল গাছসহ শতাদিক গাছপালা ও কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে ফেলে। কেইপিডের শ্রমিকসহ স্থানীয় এলাকার বাসিন্দরা হাতির আক্রমনের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে। কেইপিজেড এলাকায় অবস্থান নেয়া হাতিগুলো কেইপিজেড শিল্প এলাকার বিভিন্ন জাতের গাছপালা ভেঙে ফেলায় এ পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কতৃপক্ষ। এছাড়া লোকালয়ে নেমে গ্রামের মাটির কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলি জমির ক্ষতি করে যাচ্ছে। বর্তমানে কেইপিজেড ২৩টি শিল্প কারখানায় ২২ হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করে চলছে। শ্রমিকদেরকে হেটে অনেক দূর গিয়ে মূল সড়কে এসে গাড়িতে ওঠতে হয়। যেহেতু হাতিগুলো বেশির ভাগ রাতে পাহাড় থেকে রাস্তায় ও লোকালয়ে নেমে আসে, সে কারণে শ্রমিকসহ এলাকাবাসি সকলে রাতে আতঙ্কে থাকে। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বনবিভাগের উদ্যোগে ভুমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ ২০ পরিবারকে আর্থিক অনুদান হিসেবে ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করেন। স্থানীয় ১নং বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান বলেন, হাতির আক্রমণ থেকে এলাকাবাসিকে বাচাতে রাতে গ্রাম পুলিশসহ এলাকার লোকজনকে নিয়ে রাত জেগে পাহাড়া দিয়ে থাকি। এ পর্যন্ত হাতির আক্রমনে আমার এলাকার ৩ জন ও অন্য এলাকার ৫ জন নারী-পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। আমরা হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে চাই। সরকারের বনবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন যেন এ ব্যাপারে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহন করে এ দাবি জানাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আতঙ্ক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ